Date : 2024-04-25

ভূমধ্যসাগরের নীচে মিলল স্বর্ণ-সম্পদপূর্ণ শতাব্দী প্রাচীন শহর….

ওয়েব ডেস্ক: আটলান্টিক মহাসাগরকে পৃথিবীর সবচেয়ে অশান্ত মহাসাগর বলা হয়। ভূ-বিজ্ঞানীদের অধিকাংশের মত, আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে বহুযুগ আগে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে হারিয়ে গিয়েছিল একটি আস্ত মহাদেশ। মহাদেশটির নাম দেওয়া হয়েছিল আটলান্টাস। অনেকের মত, আটলান্টাস আসলে পর্বতমালা। মহাসাগরের বুকে ভেসে বেড়ায় বিশালাকার হিমশৈল। মনে করা হয় আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে হারিয়ে যাওয়া আটলান্টাস পর্বতমালার থেকেই এই হিমশৈলের সৃষ্টি হয়েছে।

তবে বহু চেষ্টা করেও সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যাওয়া পর্বতমালা খুঁজে পাওয়া যায়নি।আটলান্টিক নিয়ে যখন চাঞ্চল্য বা কৌতূহল কার্যত চাপা পড়ে গিয়েছিল, তখনই আবার খোঁজ মিলল ভূমধ্যসাগরের তলায় চাপা পড়ে থাকা নতুন শহরের। সমুদ্রের ১৫০ ফুট গভীরে দেখা মিলল দু’হাজার বছরের পুরনো শহরের মন্দির, বিভিন্ন মূর্তির।

এই গ্রামে জন্মের সাতদিন পর দৃষ্টিহীন হয়ে যান গ্রামবাসী ও পশুরা

পাওয়া গেল ৬৪টি প্রাচীন নৌকা যা বাসনপত্র, সোনার মুদ্রা ও গয়নাগাটিতে পরিপূর্ণ। ২০০০ সালে প্রথম এই শহরের খোঁজ পান একদল মেরিন আর্কিওলজিস্ট। এর পর উদ্ধারকার্য শুরু হয়, যা আজও চলছে।

একটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, মিশরীয় উপসাগরে ফ্রাঙ্ক গোডিও নামে এক গবেষক তার সহকারীদের নিয়ে ১৮ শতাব্দীর একটি ফরাসি যুদ্ধ জাহাজের খোঁজ চালাচ্ছিলেন। সেই সময় বড় বড় ৫টি পাথর দেখতে পান। পাথরের নীচ থেকেই উদ্ধার হয়েছে প্রাচীন শহর। আজ থেকে প্রায় ২৭০০ বছর আগে এই শহরের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।

লটারি কিনে কেল্লাফতে! ২জন কোটিপতিকে দেখে টিকিট কিনতে হুড়োহুড়ি

এই শহরটি সেই সময়ে ভূমধ্যসাগরীয় বাণিজ্যের মূলকেন্দ্র ছিল। সমগ্র শহরটিই পানির উপর অবস্থিত হওয়ায় বাড়ি থেকে মন্দির, দোকানপাট— নৌকাই ছিল যাতায়াতের মূল মাধ্যম। সেতুও ছিল পায়ে হেঁটে যাওয়ার জন্য।

নীল নদের ঠিক সামনেই অবস্থিত ছিল এই শহর, যার নাম হেরাক্লিওন। এই শহর ঘিরে রয়েছে নানা ইতিহাস। নীল নদের রানি হিসেবে ক্লিওপেট্রার অভিষেক ঘটেছিল এই শহরের মন্দিরেই। আবার ‘হেলেন অব ট্রয়’, যাকে মিশরীয় সভ্যতায় সবচেয়ে সুন্দরী নারী হিসাবে গণ্য করা হয়, তিনিও প্যারিসের সঙ্গে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন এই শহরেই। সমুদ্রের গভীর থেকে উদ্ধার বেশ কিছু মুদ্রা। সেগুলি সবই ৩০ শতাব্দীর। ব্রোঞ্জের মুদ্রাগুলি সবই রাজা টলেমির সময়কার। খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে বার বার ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতেই এই শহরটি ধীরে ধীরে ডুবতে শুরু করে এবং শহরবাসীরা নৌকাগুলিতে মূল্যবান সম্পদ নিয়ে অন্য কোথাও চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। সেই সময়ই কোনও এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে সমগ্র শহরটিই তলিয়ে যায়। ইতিমধ্যে শহর থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর সোনার অলঙ্কার ও মূল্যবান বস্তু।