ওয়েব ডেস্ক: সময়টা ১৯৮৪ সাল। বলিউডের সুপারস্টার মাধুরী দীক্ষিত তখন চলচ্চিত্র জগতে নিজের ভিত গড়ার কাজ শুরু করেছেন। রাজশ্রী প্রোডাকশনের ‘অবোধ’ ছবিতে মধ্যবিত্ত পরিবারের সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। স্বল্প বাজেটের ছবিটি রুপোলি পর্দায় সেভাবে ছাপ রেখে যেতে পারেনি, তবে সামান্য কিছুদিনের জন্য চলা ছবিটি সমালোচকদের মধ্যে আলোচিত হয়েছিল। সহজ সরল নববিবাহিত দম্পতি ‘শঙ্কর’ ও ‘গৌরী’র চরিত্রে অভিনয় নেহাত সহজ ছিল না। ছবিতে মাধুরী দীক্ষিতের বিপরীতে মেল প্রোটাগানিস্টের ভূমিকায় ছিলেন বাঙালী অভিনেতা তাপস পাল। ‘অবোধ’ ছবির ‘গৌরী’র ‘শঙ্কর’ আজ আর নেই। তাপস পালের হাত ধরেই রুপোলি পর্দার দর্শকের সামনে এসেছিলেন মাধুরী।
স্টার থেকে মেগাস্টার তারপর সুপারস্টার হয়ে গিয়েছেন মাধুরী দীক্ষিত। তাপস পালের সঙ্গে অবোধ ছবির পর আর কখনও জুটি বাঁধতে দেখা যায়নি তাঁকে। এদিন তাপস পালের মৃত্যুতে নিজের অভিনয় জীবনে প্রথম নায়কের সঙ্গে কাজের স্মৃতিচারণ করেন তিনি। সেই ছিল বলিউডে তাঁর প্রথম ছবি, ‘অবোধ’ ছবির পরে বলিউডের আর কখনও দেখা যায়নি তাপস পালকে।
তাপস পালের মৃত্যুতে ট্যুইট করে বলিউডের হার্টথ্রাব অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত শোক প্রকাশ করেন। কাজের সূত্রে অনেকবার কলকাতায় এসেছিলেন মাধুরী দীক্ষিত দেখা করেছিলেন তাপস পালের সঙ্গে। স্কুল জীবন থেকেই অভিনয় জগতের চৌখাটে পা রাখেন তাপস পাল। তরুণ মজুমদারের ছবি ‘দাদার কীর্তি’-তে তাপস পালের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন দর্শকরা।
এরপর বাংলা চলচ্চিত্র জগতে ৭০ থেকে ৯০ দশক পর্যন্ত আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ডের মতো পুরস্কার রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনীতিতে পা রাখেন তাপস পাল। ২০০৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে জেতেন। ২০০৯ ও ২০১৪ সালে পর পর দুবার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক জীবনে রোজভ্যালি চিটফান্ড কাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে সবচেয়ে বড় বিপদ নেমে আসে তাঁর জীবনে। ২০১৬ সালের শেষে রোজভ্যালি কান্ডে গ্রেফতার করা হয় তাপসকে। দীর্ঘদিন জেলেও দিন কাটাতে হয়েছে অভিনেতাকে। অসুস্থ শরীর নিয়ে এরপর আর রাজনীতিতেও দেখা যায়নি তাঁকে।