Date : 2024-04-26

বিশ্ববঙ্গ মূকাভিনয় উৎসব- ২০২০

সভ্যতার আদিতে মনের ভাব আদান প্রদান হতো ইশারায়। মুখে তখনও বুলি ফোটে নি। ইশারা বা অঙ্গভঙ্গিতে মনের ভাব একে অপরের কাছে পৌঁছে দিত। আদি সৃষ্টির যোগাযোগের সেই চুপ কথা আজ শিল্পে উত্তীর্ণ। এক ঝাঁক তরুণ তুর্কি সেই অনন্য সংস্কৃতিকে মূকাভিনয়ের মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন দিনের পর দিন। করোনা অতিমারি লকডাউন কোনো প্রভাব ফেলে নি ওদের শিল্প চর্চায়। মূকাভিনয়ের প্রতি টানে ও ভালবাসায় বহমান তাদের চর্চা।

সাজ পোশাকের অনাড়ম্বর ধারা, সামান্য আলোর কারিগরিতেও ওরা অসামান্য। মুকাভিনয়ের সেই ধারাকে উজ্জ্বলতার আলোয় যাঁরা এক অন্য মাত্রা দিয়েছেন তাঁরা হলেন যোগেশ দত্ত, পদ্মশ্রী নিরঞ্জন গোস্বামীর মত প্রবাদ প্রতিম ব্যক্তিত্ব।

তাঁদের দেখানো পথেই অগ্রসর হয়ে মূকাভিনয়ে থিয়েটারের কনসেপ্ট এনে গতানুগতিক ছকের বাইরে বেরিয়ে আলো, মঞ্চ সজ্জা, পোশাকের বৈচিত্র এনে এবং আকর্ষণীয় প্রচ্ছদের মাধ্যমে জনপ্রিয় ও জনতার দরবারে পৌঁছানোর কাজ করে চলেছেন বিশিষ্ট মূকাভিনেত্রী সোমা দাস।

২০১৫ সালে সোমা দাস গড়ে তোলেন “সোমা মাইম থিয়েটার”। মূকাভিনয়ের মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে বহু জনসচেতনতামুলক কাজ করেছেন সোমা ।

সোমার “সোমা মাইম থিয়েটার” গ্রুপ ও রাজ্য সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ১২ এবং ১৩ ডিসেম্বর আগরপাড়ায় নব নির্মিত এসএমটি এরিনায় আয়োজিত হলো “বিশ্ববঙ্গ মূকাভিনয় উৎসব, ২০২০”। এই উৎসবে বাংলার মোট ১৬ টি দল অংশ গ্রহন করে। উৎসবের সূচনা করেন বিশিষ্ট পদ্মশ্রী নিরঞ্জন গোস্বামী। বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামার (ডিজাইনার/অভিনেতা/প্রফেসর) শ্রী সৌতী চক্রবর্তী। এছাড়াও ছিলেন নাট্য জগতের একাধিক ব্যাক্তিত্ব।

উৎসবের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের জন্য “এভলিউশন অফ থিয়েটার” কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এই কর্মশালা চলবে ১৪ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কর্মশালার মুখ্য দায়িত্বে রয়েছেন ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামার ( ডিজাইনার/অভিনেতা/প্রফেসর) শ্রী সৌতী চক্রবর্তী।