চার টেস্টের সিরিজ। প্রথমটিই এর মধ্যে দিনরাতের। অ্যাডিলেডে সেই প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের সঙ্গে ধুন্ধুমার লড়াই হল অস্ট্রেলিয় বোলিংয়ের। টস জিতে ব্যাটিং নেন ভারতীয় দলনায়ক বিরাট কোহলি। কিন্তু স্কোরবোর্ডে কোনও রান ওঠার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন পৃত্থী শা। তাঁকে শূন্য রানে বোল্ড করে দেন মিচেল স্টার্ক। খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অপর ওপেনার ময়াঙ্ক আগরওয়াল। ব্যক্তিগত ১৭ রানে ময়াঙ্কের স্টাম্প ছিটকে দেন প্যাট ক্যামিন্স। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে নিয়ে পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন চেতেশ্বর পূজারা। কিন্তু স্কোরবোর্ডে যখন ১০০ তখন ব্যক্তিগত ৪৩ রানে আউট হন চেতেশ্বর। তবে দুরন্ত মেজাজে ছিলেন ক্যাপ্টেন কোহলি। কোনও বোলারকেই রেয়াত করেননি। দ্রুত রান করতে থাকেন কোহলি। শতরানও হয়তো করে ফেলতেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৭৪ রানে রান আউট হন কোহলি। যা ভারতীয় শিবিরে বড় আঘাত। অজিঙ্কা রাহানে (৪২) সেট হয়ে গিয়েও এলবিডব্লু হন স্টার্কের বলে। হনুমা বিহারীকে (১৬) আউট করেন হেজলউড। প্রথম দিনের শেষে ভারতের রান দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ২৩৩। ১৫ রানে ক্রিজে রয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ৯ রানে অপরাজিত রয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা। দ্বিতীয় দিনে ২৪৪ রানেই অল আউট হয়ে যায় ভারত। কিন্তু ভারতকে লড়াইয়ে ফেরান বোলাররা। ১৯১ রানে অল আউট হয় অস্ট্রেলিয়া। ৫৩ রানের লিড পায় ভারত। এই লিড ভারতকে সুবিধা দেবে বলেই মনে করা হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে যা হল অবিশ্বাস্য। ১৯৭৪ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪২ রানে অল আউট হয়েছিল ভারত। সেটাই ছিল ভারতের টেস্টে সর্বনিম্ম রান ভারতের। সেই লজ্জার রেকর্ডও মুছে গেল। ৩৬ রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরলেন ভারতের ব্যাটসম্যানরা। এর মধ্যে তিনজন ০, চারজন ৪ রান করে, একজন ৯, একজন ৮, একজন ১। কোনও ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। অবিশ্বাস্য এই কম রানের টার্গেটে পৌঁছতে দেরি হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। ফলে সিরিজে আপাতত ১-০ এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.