ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল, পাহারে এবার কোন ফুল। হ্যা। রাজনীতিবিদদের মধ্যে এখন এই প্রশ্নটা ভালোই ঘোরাফেরা করছে বটে। তবে ভ্রমনপ্রীয় বাঙালির অবশ্য সেসবে খুব বেশি মাথা ব্যথা নেই। বরং বরফের চাদরে মোড়া যে কোনও ফুলই তাঁদের কাছে অনাবিল আনন্দের। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি মানেই উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনে উঠে পড়ে কয়েকদিন কাঞ্চনজঙ্ঘার কোলে কাটিয়ে আসা।
কোথায় যেতে পারেন এবারের ক্রিশমাসের ছুটিতে। পরামর্শ দিতে পারি আমরা। ৩-৪ দিনের ছুটি বেড়িয়ে আসতে পারেন উত্তরবঙ্গের সুন্দর এক ছোট্ট গ্রাম বড়-মাঙ্গওয়া। কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, সব বলছি। প্রথমেই টিকিট কেটে উঠে পড়ুন উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনে। দার্জিলিং মেল, পদাতিক এক্সপ্রেস সবই চলছে। নিউজলপাইগুড়ি নেমে সেড়ে নিন প্রাতঃরাশ। এরপর এনজেপির বাইরে থেকে গাড়ি বুক করে নিন বড়মাঙ্গওয়া পর্য্ন্ত।
মোটামুটি ২৮০০-৩০০০ টাকার মতো গাড়ি ভাঙা লাগবে। তিস্তাকে সঙ্গী করে ঘন্টা তিনেকের মধ্যেই পৌঁছে যান গন্তব্যে। অঞ্জনা হোমস্টে ছাড়াও একাধিক হোমস্টে রয়েছে বড়-মাঙ্গওয়াতে। হোমস্টেতে পৌঁছে একটু ফ্রেশ হয়ে সেরে নিন দুপুরের লাঞ্চ। এরপর আশে পাশে ঘুরে গ্রামবাসিদের জীবনযাত্রা দেখতে পারেন। কথা বলতে পারেন তাঁদের জীবিকা নিয়ে। পরের দিন সাইট সিং-এর গাড়ি বুক করে নিন। পরের দিন সকালে উঠে হোমস্টের আশপাশ থেকে দেখে নিন তুষারাবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘাকে।
এরপর বুক করা গাড়িয়ে ঘুরে নিতে পারেন অরেঞ্জ গার্ডেন, ভিউ পয়েন্ট, তিনচুলে, তাকদাহ টি এস্টেট। পরের দিনের জন্যেও গাড়ি বুক করে নিতে পারেন। ঘুরে আসতে পারেন লেপচাগজত বা দার্জিলিং। দেখে নিতে পারেন দার্জিলিংয়ের রক গার্ডেন, চিড়িয়াখানা, ঘুম মোনাষ্ট্রি এবং বাতাসিয়া লুপ। এরপর ফিরে আসুন সন্ধ্যার আগে হোমস্টেতে। পরের দিন দুপুর নাগাদ বেড়িয়ে ফিরে আসুন নিউজলপাইগুড়ি। পাহাড়াকে আপাতত গুডবাই জানিয়ে, হাজারো মনোরম স্মৃতি নিয়ে ফিরে আসুন নিজের বাড়িতে। যদিও পাঁচ-ছয় জন যান, সেক্ষেত্রে গড়ে খরচ হতে পারে ৬০০০-৬৫০০ টাকা।