Date : 2024-04-25

১২৩ দিনের সফর শেষে আলাদা যুগল

কবিগুরুর কথায় জয় করে তবু ভয় কেন তোর যায় না। হায় ভীরু প্রেম হায় রে। মানুষ প্রেমে পরতে ভালোবাসেন। কিন্তু সর্বক্ষণ সেই প্রেমকে হারিয়ে ফেলার ভয় পান। তাই প্রত্যেকেই যেমন ভাবে পারেন তাদের সেই সম্পর্ককে যত্নে আগলে রাখতে চান।তবে মাঝে মধ্যে সেই ভালোবাসার একটু আধটু পরীক্ষা তো দিতেই হয়।সম্পর্কের ঘনত্ব বুঝতে । তেমনই এক পরীক্ষা দিলেন ইউক্রেনের এক যুগল। দেখতে চেয়েছিলেন একসাথে থাকতে পারেন কিনা সারাজীবন। তাই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারীতে একটানা ১২৩ দিন একসঙ্গে থাকার পণ করেছিলেন। তাই দুজনের হাত একসাথে এক হাতকড়ায় বেঁধেছিলেন।অর্থাত একসাথে থাকা, খাওয়া শোওয়া। ১২৩ দিনের প্রতিটা মূহুর্ত একসাথে কাটিয়েছেন তারা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।

পণ যেদিন ভাঙার কথা ছিল সেদিনই তারা আলাদা হয়ে গেলেন তারা। যুগলের নাম ভিক্টোরিয়া পুসতোভিতোভা এবং আলেকজান্ডার কাডলে । দুজনেই খারকিভের বাসিন্দা। চলতি বছর ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে কিয়েভের ইউনিটি মনুমেন্টের সামনে দুজনে একসঙ্গে থাকার পণ করে হাতকড়টি পরেন। ঠিক করেন ১২৩ দিন একসঙ্গে থাকবেন। তাদের এই সিদ্ধান্তের কথা সামনে আসতেই তারা রাতারাতি রীতিমতো সেলিব্রিটি হয়ে যান। স্যোশাল মিডিয়াতে তাদের ফলোয়ার বাড়তে থাকে। ১২৩ দিন পরে সেই ষুগল কি করেন তা দেখার জন্য় মুখিয়ে থাকেন তাদের ভক্তগনেরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আশাহতই হতে হয় তাদের ভক্তগণকে। ঠিক হয়েছিল কিয়েভের ইউনিটি মনুমেন্টের সামনে তারা তাদের বাঁধন খুলবে। কথামতই সেই বাঁধন খোলা হয়। কিন্তু খোলার সাথে সাথেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান ওই যুবতী।

তারা দুজনেই জানিয়ে দেন তাদের পক্ষে আর একসাথে থাকা সম্ভব নয়। এই একসাথে থাকার সময় তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতোবিরোধ হয়েছিল। যুবতীর মতে তিনি স্বাধীন থাকতে পছন্দ করছেন এই মূহুর্তে। এই স্বাধীনতাকে তিনি উপভোগ করতে চান সারাজীবন। তবে এই ১২৩ দিনে ভক্তরা তাদের পাশে যেভাবে ছিলেন তারা তারা আপ্লুত। তবে ভক্তগণের মন ভেঙেছে তাদের আলাদা হওয়ার ঘটনায়।