Date : 2024-04-20

“লিভ- ইন” সম্পর্কে খাদ্য ও মন

“লিভ- ইন” সম্পর্কে খাদ্য ও মন

ওয়েব ডেস্ক : কম বেশী আমরা সকলেই খাদ্যরসিক। এই ধরুন অফিসের ব্যস্ততম সময় হঠাত নাকে এলো সুস্বাদু কোনো খাবারের গন্ধ। কিছুক্ষনের জন্য হলেও কাজ গেল থমকে। মন গেল খাবারের গন্ধে। আবার ধরা যাক মন খুব খারাপ। বাসে কিংবা গাড়িতে জানলায় মাথাটা হেলান দিয়ে বসে আছি। হঠাত খাবারের দোকানের পাশ দিয়ে গাড়িটা গেল। নাকে এল গন্ধ। ভাবছিলাম হয়তো আকাশ পাতাল। কিন্তু সেই গন্ধে মনটা চনমনে হয়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গে ফোন টা বের করে বাড়িতে জানলাম কি রান্না হয়েছে। এই ঘটনা আমাদের সাথে মাঝে মধ্যেই হয়ে থাকে। ছোটদের রাগ ভাঙাতে আমরা তাদের পছন্দের কোনো খাবার তাদের সামনে রাখলেই ব্যাস রাগ উধাও। আসলে আমাদের পরিচালিত হয় যাক। মুড পরিচালিত হয় ব্রেনের মাধ্যমে, মস্তিষ্কের মধ্যেকার নিউরোট্রান্সমিটারস দ্বারা। আর এই নিউরোট্রান্সমিটারস কতটা ভারসাম্য রেখে কাজ করবে, তা নির্ভর করে আমরা কী খাচ্ছি, তা হজম হচ্ছে কি না, তার উপরে। কিন্তু খাবাররে সাথে স্বাস্থ্যের একটা সম্পর্ক আছে।

খিদে পেলে বিভিন্ন খাওয়ারের মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাওয়া রাখাটা জরুরী। নয়তে প্রভাব পড়বে শরীরে। এনেকেই যেমন মন খারাপ হলে বিঞ্জ ইটিং বা কমফর্ট ইটিং করেন। আবার অনেকেই আছেন যারা মন খারাপ হল বা কিছু খেতে ইচ্ছে করছে বলে একসআথে এনেক কিছু খেয়ে নেয়। তার প্রভাব পরে শরীরে। অনেকসময় মন খারাপে অনেকের ক্যাডবেরী বা চকলেট খায়। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত খেয়ে নিলে ওবেসিটি বা মোটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ সব ক্ষেত্রে এক্সারসাইজ় বাদ পড়ে রোজকার রুটিন থেকে।

আর চেহারা খারাপ হলে মনের উপরেও তার প্রভাব পড়ে। পছন্দের খাবার খেলে স্বাভাবিক ভাবেই মন ভাল হয়ে যায়।অনেক সময় কাজের মধঅযে বা পড়ার সময় কফি বা চা আমাদের ঘুম তাড়াতে বা অমনোযোগীতাকে দূর করতে সাহায্য করে। কিন্তু মুশকিল অতিরিক্ত চা,কফিতে শরীরে সমস্যা হয়। অনিদ্রা জনিত সমস্যা তৈরী হয়। কিন্তু খাওয়ার মনের মধ্যে একটা তৃপ্তিবোধের কাজ করে। তাই খাবার বেছে নিতে হবে এমন ভাবে, যা শরীরকে সুস্থ রাখবে। শরীর তরতাজা থাকলে মনও থাকবে ফুরফুরে।