ওয়েব ডেস্ক : যেন ঘরের ছেলে ঘরে ফিরল। মুকুল তৃণমূলে ফিরে আসায় শান্তি পেল, বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি করতে পারলাম না, বিজেপি করবো না বললেন মুকুল রায়। দীর্ঘ চার বছরের তীক্ততা ঘুচে যেন মধুর সমাপ্তি ঘটল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দলের শুরুর দিন থেকে কাঁধে কাঁধ দিয়ে লড়াই করেছিলেন মুকুল রায়। এমনকি তৃণমূল দল হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার সময় নির্বাচন কমিশনে দেওয়া আবেদনপত্রে নাম ছিল মুকুল রায়ের। মুকুল রায় কংগ্রেস নেতা হিসাবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সখ্যতা বাড়ে।
মুকুল পরিচিতি
1998 সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ভেঙে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করেন, মুকুল রায় ছিলেন সেই দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, 2001 সালে জগদ্দল বিধানসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হন । ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী হরিপদ বিশ্বাসের কাছে তিনি পরাজিত হন । 2006 সালে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হন । 2006 সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত হন।দ্বিতীয় ইউপিএ মন্ত্রীসভায় তিনি জাহাজ মন্ত্রী হন । পরবর্তীকালে 2012 সালে রেলমন্ত্রী হন।
সারদা ও নারদা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোর পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে। 2017 সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদেন। এ হেন এক সহযোদ্ধার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল আজ থেকে প্রায় চার বছর আগে। রাজনৈতিক দূরত্ব বাড়লেও একে অপরের বিরুদ্ধে কখনও কটূ কথা শোনা যায়নি। গত 30 মার্চ মমতা বলেছিলেন মুকুল বেচারা থাকে কাঁচরাপাড়ায় কিন্তু ওকে পাঠিয়ে দিয়েছে কৃষ্ণনগরে। মুকুল শুভেন্দুর মত খারাপ নয়।
বিজেপি প্রতীকে 35 হাজার 89 ভোটে জিতেও টিকে থাকতে পারলেন না গেরুয়া শিবিরে। পুরনো জায়গায় ফিরে যেতে হল তাঁকে।