Date : 2024-04-18

জাতির উদ্দেশে ভাষণে একগুচ্ছ ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল দেশ। প্রতিষেধক পাওয়া গেলেও তার প্রয়োগ সঠিকভাবে হচ্ছে না বলে বিভিন্ন রাজ্য থেকে অভিযোগ উঠছে। দিনকয়েক আগেই সুপ্রিম কোর্ট একাধিক কারণে বিঁধেছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। মোদী সরকারের টিকাকরণ নীতি ভ্রান্ত বলে প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি কো-উইন অ্যাপে প্রতিষেধক নিতে কীভাবে দেশের প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারা নাম লেখাবেন তা জানতে চেয়েও সরব হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে সিঁদুরে মেঘ দেখাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশে আছড়ে পড়েছে থার্ড ওয়েভ। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে ভারতে কোভিড সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আসাটা একেবারেই অস্বাভাবিক নয়। আগামি কয়েক মাসের ব্যবধানে তা যদি সত্যিই এসে পড়ে তাহলে তা ঠেকাতে কেন্দ্র কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা নিয়ে সন্দিহান চিকিৎসক ও ভাইরাস বিশেষজ্ঞ মহলের একটা বড় অংশ। এমন হাজারো বিতর্কের মাঝেই সোমবার বিকেলে দেশবাসীর প্রতি ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এদিন তাঁর বক্তব্যে উঠে এল একাধিক বিষয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি বিষয় হল প্রতিষেধক এবং প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় রেশনের মেয়াদ বাড়ানো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামি 21 জুন থেকে দেশে 18 বছরের ওপরে নাগরিকদের বিনামূল্যে প্রতিষেধক দেওয়া হবে। যার মাধ্যমে প্রতিটি রাজ্যবাসী বিনামূল্যে প্রতিষেধক পাবেন। এর ফলে টিকাকরণ খাতে কোনও রাজ্যকেই আলাদা ব্যয়ভার বহন করতে হবে না।

এছাড়াও দেশীয় প্রতিষেধকের 75 শতাংশই কিনবে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিষেধক ছাড়াও এদিন আরও একটি বড় বড় ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান আগামি নভেম্বর মাস পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার আওতায় প্রত্যেক দেশবাসীকে রেশন দেওয়া হবে। এর ফলে দেশের 80 কোটি মানুষ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রেশন পাবেন। করোনাকালে খাদ্য সঙ্কটের মুখে পড়তে হয়েছে দুঃস্থদের। রাজ্য সরকারগুলি রেশন পরিষেবার মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহ করলেও বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের মতবিরোধ তৈরি হয়েছে কখনও কখনও। করোনাকালে কেন্দ্রের এই দুই বড় ঘোষণা দেশবাসীকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।