Date : 2024-04-20

ন্যাটোতেও নিশানায় চিন ?

ওয়েব ডেস্ক : জি-সেভেনের পর ন্যাটো সম্মেলনেও চিনকে নিশানা করার পরিকল্পনা চলছে পুরোদমে। তাইওয়ান ও হংকংয়ে  মানবাধিকার লঙ্ঘন রুখতেও চিনের উপর চাপসৃষ্টি করা হতে পারে  বলে সূত্রের খবর। চিনের নন মার্কেট পলিসি গুলো নিয়েও সরব হতে পারে অন্যান্য দেশগুলি।

ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টোলটেনবার্গ বলেন ইউরোপ ও আমেরিকাকে চিনের বিরুদ্ধে সরব হতেই হবে। চিনে যেভাবে একনায়কতন্ত্র চলছে তা মেনে নেওয়া যায়না। চিন যে হারে নিজেদের পরমাণু শক্তি বাড়াচ্ছে, তাতে ওদের সামরিক শক্তিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাতেই উদ্বেগপ্রকাশ করেছে  ন্যাটো। রাশিয়াকে পাশে নিয়ে এশিয়া প্যাসিফিকে চিন দাদাগিরি করতে চাইছে বলেও ধারণা তৈরি হয়েছে। তবে কোনোভাবেই চিনের বিরুদ্ধে নতুন ঠান্ডাযুদ্ধে নামতে চায়না বলে পরিস্কার করে দিয়েছে ন্যাটো।

জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেলও জানিয়েছেন, চিনের বিরুদ্ধে সরব হতেই হবে। তবে নিজেদের ভারসাম্য বজায় রেখেই চিনকে আক্রমণ করতে হবে। নাহলে বিপদ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা মর্কেলের।

ন্যাটোর বিবৃতির পরই পাল্টা আক্রমণ শানায় চিন। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিন বিরোধী যুদ্ধে নামবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধেও তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে চিন। চিনের বিরুদ্ধে কুৎসা না রটানোর আবেদনও জানিয়েছেন চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র।