Date : 2024-04-23

আতঙ্ক “চিনা মাঞ্জা”,সচেতনতার অভাব মারাত্মক মাঞ্জা সুতো বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যেই

কারো আনন্দ মূহুর্তেই হতে পারে কারো ক্ষতির কারণ। নদিয়ার শান্তিপুরের আতঙ্ক এখন ঘুড়ির চিনা মাঞ্জার সুতো। রথ উপলক্ষে ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য ব্যবহৃত চিনা মাঞ্জার সুতোয় গুরুতর আহত এক যুবক ও শিশু।

মেট্রো শহরে ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে বাইক নিয়ে যাওয়ার পথে আরোহীদের ঘুড়ির সুতোয় গুরুতর আহত কিংবা মৃত্যুর খবর বহুবার শোনা গেছে। সেই একই দুর্ঘটনা এবার অন্য জেলায়ও। করোনা পরিস্থিতিতে গৃহবন্দী শৈশবের একটু আনন্দের স্বাদ দেয় ঘুড়ি ওড়ানো। বিশ্বকর্মা পুজোর এখনও বেশ খানিক দেরি।

তার আগেই গত 12ই জুলাই রথ উপলক্ষে ঘুড়ি ওড়ানোর উন্মাদনায় মেতে উঠেছিল নদিয়ার শান্তিপুর সহ বেশ কয়েকটি এলাকা।রথের পর কেটে গেছে বেশ কয়েকটা দিন। আর সেই ঘুড়ির সুতোয় ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখোমুখি স্থানীয় এক যুবক ও একটি শিশু।

গতবছর একজনের কানের অংশ, অপরজনের আঙ্গুল কেটে যায় এই সুতোয়। এবছর ঘোড়ালিয়ার এক মাঝবয়সী কৃষকের ঠোঁট কেটে যায় মাঞ্জা সুতোয়।তেরোটি সেলাই নিয়ে দীর্ঘকয়েক মাস কষ্ট ভোগ করে এখন কিছুটা সুস্থতার দিকে।11ই জুলাই রথের আগের দিন পাঁচ বছরের শিশু ঘুড়ি ধরতে গিয়ে পা কেটে রক্তাক্ত হয়ে যায়।তার পায়ে তিনটি সেলাই করতে হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় শান্তিপুরের এক যুবক স্কুটি চালিয়ে ফেরার সময় রাস্তার ওপরে ঝুলতে থাকা চিনা মাঞ্জা সুতো তার গলায় আটকে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে স্থানান্তরিত করতে হয় অন্য একটি হাসপাতালে। পাশাপাশি গোপালপুরের এক বাসিন্দা তার শিশুকে নিয়ে ফেরার পথে সুতোর শেষ অংশ গলায় আটকে কেটে যায় শিশুটির গলা। আর তাকে বাঁচাতে গিয়ে কেটে যায় ওই ব্যক্তির হাতও।বর্তমানে দুজনেই হাসপাতালে চিকিত্্সাধীন।

মন মারাত্মক মাঞ্জা সুতো বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যেই। থানার পক্ষ থেকে সামান্য মাইকিং আর দু-একজন সুতা বিক্রেতাকে ধরপাকড়। লিখিত অভিযোগ দেওয়া সত্ত্বেও, পুলিশি উদাসীনতা এবং গাফিলতিকেই দায়ী করছে স্থানীয়রা।সচেতনতার অভাব স্থানীয়দের মধ্যেও। প্রশ্ন একটাই ঠিক কোন পরিস্থতিতে মানুষ, প্রশাসন সজাগ হবে ?