Date : 2024-04-25

Calcutta High Court : বিরোধী দলনেতার দুর্গাপুজোর সিলমোহর দিলো হাইকোর্ট।

স্নেহাশীষ চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার : বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীর সভাপতিত্বের কাঁথি রিক্রিয়েশন ক্লাবের দুর্গা পুজোর অনুমতি দিলেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের নির্দেশে স্পেশাল অফিসার বুধবার পরিদর্শন করে আজ বৃহস্পতিবার রিপোর্ট জমা দেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদারও বিচারপতি কেশনঙ ডোমা ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে।

বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের নিযুক্ত স্পেশাল অফিসার আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানান কাঁথি রিক্রিয়েশন ক্লাব এর দুর্গাপুজো যে ময়দানে হয় সেই ময়দান সম্পূর্ণরূপে ফাঁকা রয়েছে এবং আগামী ২৬ শে অক্টোবর পর্যন্ত সেই মাঠে অন্য কোনো রকম কোনো কর্মসূচি নেই ।পুজো কমিটি তারা আবেদন জানিয়েছে লক্ষ্মী পুজোর পরেই তারা ময়দান সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার করে দেবেন।
উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ডিভিশন বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন যে সমস্ত শর্ত দিয়েছে সেচ দপ্তর এর পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে তা যথাযথ পালন করে সেখানে তারা দুর্গা পুজো করতে পারবেন কাঁথি রিক্রিয়েশন ক্লাব।

চলতি বছরের ১৯শে অগাস্ট মাসে কাঁথি চৌরঙ্গী রিকরিয়েশন ক্লাবের দুর্গাপুজোর অনুমনি না মেলায় হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা নির্দেশ দেন পূর্ব মেদিনীপুরের সেচ দফতর লিখিত নির্দেশ দেবেন কেন তাঁরা চৌরঙ্গী রিক্রিয়েশন ক্লাবের দুর্গাপুজোর অনুমতি দিচ্ছেন না।সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন পূজা কমিটি।

মামলাকারি তুষারকান্তি দাসের পক্ষের আইনজীবী বিল্লদল ভট্টাচার্য আদালতে জানান পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি শহরের চৌরঙ্গী রিক্রিয়েশন ক্লাবের দুর্গাপুজোর অনুমতি দিতে অস্বীকার করছে প্রশাসন‌।

ওই ক্লাব ২২ বছর ধরে এই পুজো করে এলেও আগে তা অন্যত্র হত। পরে যদিও রাজ্যের প্রাক্তন সেচমন্ত্রী শুভেন্দুর ক্লাবের পুজো সেচ দফতরের ওই জমিতেই হয়ে আসছে। তিনি আর অভিযোগ করেন ‘‘শুভেন্দুবাবুর আমলে নয়, ওই জমিতে পুজো হচ্ছে বাম আমলে যখন সুভাষ নস্কর সেচমন্ত্রী ছিলেন সেই সময় থেকে।’’ তাঁর দাবি, গত ১৬ অগস্ট যাবতীয় নিয়ম মেনে সেচ দফতরের কাছে অনুমতি চেয়ে চিঠি দেয় কমিটি। এর পরে ১৯ অগস্ট অনুমতি দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সে দিনই সেচ দফতরের এক কর্তা অনুমতিপত্রটি চেয়ে নেন কয়েকটি বিষয় যুক্ত করা দরকার, এই কথা বলে। অভিযোগ, এর পরেই নাকি জানানো হয়েছে, শুভেন্দুকে ক্লাবের সভাপতি পদ থেকে না সরানো হলে পুজোর অনুমতি দেওয়া যাবে না।

পুজো কমিটির আর বক্তব্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এই ক্লাব কমিটির সভাপতি হওয়ার জন্যই প্রশাসন এক বার অনুমতি দিয়েও তা বাতিল করেছে। তবে হাল ছাড়তে রাজি নয় ওই ক্লাব। শাসক দলের চক্রান্তেই অনুমতি বাতিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আদালতে।