Date : 2024-04-20

৪৮ ঘন্টায় শেষ, হাইকোর্টের বারান্দায় হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন সুব্রজিতের মা বাবা।

স্নেহাষিশ চ্যাটার্জি , রিপোর্টার : বেলঘড়িয়ার বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জীর একমাত্র ছেলের মৃত্যুর সুবিচার চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে বাবা, মা। কেন সেদিন বেসরকারি হাসপাতালে ভুল রিপোর্ট দিল । যার জন্য অসময়েই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হলো? যাঁদের জন্য এমন ঘটলো তাঁদের শাস্তির দাবি নিয়ে হাইকোর্টে বাবা মা।

একমাত্র সন্তান বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছে।করোনা আতঙ্কে এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতাল হাসপাতালে। দিনভর হয়রানি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু। মৃত্যূর পর ছেলের মুখটাও ভালো ভাবে দেখাও হয়নি বাবা মায়ের। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ময়নাতদন্ত হয়। কিন্তু তার রিপোর্ট আজও পাননি।

বেলঘরিয়া বাসিন্দা সুব্রজিৎ চ্যাটার্জি অসুস্থ হয়ে পড়ে গত ১০ জুলাই ২০২০ সালে। একমাত্র ছেলে সুব্রজিৎ চ্যাটার্জি সবে মাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় দিয়েছিল। বেলঘরিয়ার মিডল্যান্ড নার্সিং হোমে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়।দু ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট হাতে পায় বাবা বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জি। ছেলের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ। শুরু হলো হয়রানি।

সাগর দত্ত হাসপাতাল সেখান থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই একমাত্র ছেলেকে নিয়ে আর বাড়ি ফিরতে পারলেন না বেলঘড়িয়ার চ্যাটার্জি পরিবার।
এখানেই হয়রানির শেষ নয়। ছেলের দেহ দেওয়া হবে না জানিয়েদিলো হাসপাতাল কতৃপক্ষ। কারণ ছেলের যে করোনা হয়েছিল। ছেলের মুখটা শেষ বারের জন্য দেখতে পাবে না তাঁরা। আইনের দ্বারস্থ হলেন নিরুপায় মা বাবা।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ছেলের মুখটা শেষ বারের মতো দেখতে পেয়েছিলেন। ময়না তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট । এক বছর বাদে সন্তানহারা বাবা, মায়ের কাছে যে রিপোর্ট এলো তা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন।