Date : 2024-04-20

শিল্পে এক নম্বর। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে এটাই মূল লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রীর।

সঞ্জু সুর, রিপোর্টার : রাজ্যে সব কিছু হলেও আসছে না কোনো শিল্প। বছরের পর বছর বেঙ্গল বিজনেস সামিট করে সরকারের কোষাগারের অর্থ নয়ছয় করা ছাড়া আর কি করছে মমতার সরকার ? ঠিক এই ভাষাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সমালোচনা করেন বিরোধীরা। তা সে বিজেপি হোক বা সিপিএম। এবার সেই সমালোচনা কে ভোঁতা করতে উদ্যোগী হলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বুধবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার পানাগড়ে ছিলো একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে তৈরি চারশো কোটির টাকার একটি প্রকল্পের শিলান্যাস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে যে ঘোষণা করলেন, তাতে অচিরেই এই সমালোচনা পিছেনের সারিতে চলে যেতে বাধ্য। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এখন একটাই এজেন্ডা, পশ্চিমবঙ্গকে পুনরায় দেশের শিল্প মানচিত্রে এক নম্বর স্থানে পৌঁছে দেওয়া। বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট করে ঠিক কত কোটি টাকার অফার রাজ্যে এসেছে, তার মধ্যে কত কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগামিদিনে দেশের শিল্প মানচিত্রে পশ্চিমবঙ্গ কে আবার এক নম্বর স্থানে নিয়ে যাওয়াই তাঁর লক্ষ্য।” এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, “আমার পরবর্তী টার্গেট বাংলাকে শিল্পে এক নম্বর করা।”

বাংলা যাতে শিল্পে এক নম্বর হয় তার জন্য ইতিমধ্যেই বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য। এদিন সেই লক্ষ্যে আরো দুটি নতুন শিল্পনীতি ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম টি হলো “এথানল প্রোডাকশন প্রমোশন পলিসি” ও দ্বিতীয় টি হলো “ডেটা সেন্টার পলিসি।”

মুখ্যমন্ত্রীর আরো ঘোষণা, “শিল্পায়নের ক্ষেত্রে যা যা সমস্যা আছে, তা দ্রুত আমরা সমাধান করবো।” এমনকি রাজ্যে শিল্পায়নের ক্ষেত্র প্রস্তুতের ক্ষেত্রে বাঁধা নিরসনের জন্য ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশন বোর্ড’ গঠনের কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি কোভিডের কারণে দু’বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালে যাতে ‘বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট’ করা হয় সে বিষয়ে WBIDC-র চেয়ারম্যান রাজীব সিনহা কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন একটি নতুন শ্লোগান এর কথাও বলেন তিনি। শ্লোগান টি হলো “ইয়েস বেঙ্গল ক্যান” অর্থাৎ “হ্যাঁ বাংলাই পারবে।”
পানাগড়ে উপস্থিত অশোক ধানুকা বা হর্ষবর্ধন নেওটিয়া বা উৎসব পারেখের মতো শিল্পপতিদের বক্তব্য, শিল্পে এক নম্বর জায়গায় পৌঁছানোর সব রকম সম্ভাবনা পশ্চিমবঙ্গের রয়েছে। বাকি ছিলো সরকারি সদিচ্ছার অভাব। এবার সেটাও দুর হতে চলেছে বলেই তাঁরা মনে করেন।