Date : 2024-04-25

Delhi gang war at Rohini Court: রাজধানীর রোহিনী আদালতের ঘটনায় RPLUS NEWS কে বললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি

স্নেহাশীষ চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার: শুক্রবার রোহিনী কোর্টের ২০৭ নম্বর কক্ষে এদিন শুনানি চলছিল গ্যাংস্টার জিতেন্দ্রর। তখনই সেখানে বিরোধী গ্যাংয়ের দুই সদস্য আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে। আইনজীবী সেজে কোর্টে ঢুকে পড়েছিল হামলাকারীরা। তাদের গুলিতে আহত হয়ে ঢলে পড়ে জিতেন্দ্র। এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর ফলে আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আরও বেশ কয়েকজন। সঙ্গে সঙ্গেই পালটা হামলা চালান আদালত কক্ষে মজুত পুলিশকর্মীরা। কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ছ’জনের। দিল্লির অন্ধকার জগতের অন্যতম নাম জিতেন্দ্র। অপহরণ, খুন-সহ তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে নিহত গ্যাংস্টারের বিরুদ্ধে।

রোহিনীর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক কুমার গঙ্গোপাধ্যায় আর প্লাস নিউজ কে জানালেন, যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। দুর্বৃত্তরা কতটা বেপরোয়া হয়ে গিয়েছে বিচার ব্যবস্থার ওপর এ ধরনের আক্রমণ আগে কখনো ঘটেনি। বিচারালয়ের নিরাপত্তার সঙ্গে যারা জড়িত তারা কিভাবে রক্ষা করছেন। বিচার ব্যবস্থার উপর সাধারণ মানুষের আস্থা থাকবে না ।

সরকারের উচিত আরো কঠোর হওয়া। সরকারের কঠোর ভাবে দেখা উচিত দুর্বৃত্ত কে প্রশ্রয় দেওয়া এটা বন্ধ হওয়া উচিত। যারা আইন ভাঙছে তাদের সাজা দেওয়ার প্রয়োজন আছে, তা না হলে আইনের শাসন ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে। আইনের শাসনের ওপর প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে এই ধরনের ঘটনা কয়েকদিন আগেই ঝাড়খণ্ডের বিচারপতির ওপর আক্রমণ এবং খুনের ঘটনায় আরো একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল দুর্বৃত্তদের বাড়বাড়ন্ত আজ কোথায় পৌঁছে গিয়েছে।

বিশিষ্ট আইনজীবী তথা রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানান কোথাও কেউই সুরক্ষিত নয় ।এরাজ্যে দিনেদুপুরে গুলি গোলা চলে ।কখনো কামারহাটি কখনো ব্যারাকপুর সুতরাং সুরক্ষিত কেউ কোথাও নেই। শুধুমাত্র আইনজীবিদের জন্য বিশেষ করে কেন নিরাপত্তার প্রয়োজন ।যেখানে সাধারন মানুষ তারাই নিরাপত্তাহীন। প্রশাসনিক, আইন-শৃঙ্খলা যদি ফটিক এবং উন্নতি না হয় তাহলে একটা বিশেষ গোষ্ঠীকে সুরক্ষিত দেওয়া যায় না।


বিশিষ্ট আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অরুণাভ ঘোষ জানান এরাজ্যে এমন কোন ধরনের ঘটনা ঘটেছে তার মনে পড়ে না। তবে আসামি পালানোর ঘটনা এরাজ্যে ঘটেছে।


কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ন চট্টোপাধ্যায় তিনি জানান , আমাদের দেশে কোন কিছুতেই নিরাপত্তা নেই। আইনজীবীদের আলাদাভাবে নিরাপত্তা কেন? সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা আছে? দুটি বাচ্চা যেভাবে জলের মধ্যে তড়িত হয়ে মারা যায় সেখানে নিরাপত্তা ধোঁয়া তুলে লাভ কি। যেখানে পুলিশের পোশাক রাস্তায় কিনতে পাওয়া যায় উকিলের কোড গ্রাউন্ড কিনতে পাওয়া যায় উকিল ছাড়া যে কোন লোক সেটা কিনতে পারে নিরাপত্তা আলাদা করে আশাই করা যায় না কিছুদিন আগে ঝাড়খণ্ডের বিচারকের মৃত্যু হয়েছে না তাকে খুন করা হয়েছিল।


পশ্চিমবঙ্গের একটা নিম্ন আদালত আছে যেখানে বন্যায় জল ঢুকে যায় ।যেখানে ছাদ ফুটো হয়ে জল পড়ে ।যেখানে কুখ্যাত আসামিদের বিচার হয় ছোট্ট ঘরে অসুরক্ষিত অনিয়ন্ত্রিত জায়গায়। যেকোনো নিরাপত্তা থাকেনা আইনজীবি থেকে বিচারকদের। তবেই এই যে প্রবণতা দেখা গেল কোটের মধ্যে গুলি করে দেওয়া এই প্রবণতা যদি ছোঁয়াচে রোগ হয় তাহলে কিন্তু যেকোনো মুহূর্তে সারাদেশে আদালতে ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগবে না ।এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন তিনি।
রাজ্যের নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালতে নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়লেন হাইকোর্টের আইনজীবী মহলের একাংশ। শহর কলকাতায় রয়েছে রাজ্যের শীর্ষ আদালত কলকাতা হাইকোর্ট ।রয়েছে দেওয়ানী আদালত সিটি সিভিল কোর্ট। সেখান থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে রয়েছে নগর দায়রা আদালতও ব্যাংকশাল আদালত।এছাড়াও রয়েছে শিয়ালদহ আদালত, আলিপুর দায়রা এবং আলিপুর জেলা আদালত।কলকাতা লাগোয়া বিধান নগর এবং হাওড়া আদালত।
দিল্লির ঘটে যাওয়া ঘটনায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে আইনজীবী মহলে।