Date : 2024-03-29

কাকলি সরকারের দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

স্নেহাশীষ চট্টোপাধ্যায় রিপোর্টার : কাকলি সরকারের দ্বিতীয় বার ময়না তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা । এন আর এস হাসপাতালের তিন জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কে নিয়ে দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত করতে হবে। তার শরীরে সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঠিক রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখবেন এই তিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গুলি কাকলি সরকারি কিনা সেই বিষয়টিও ময়নাতদন্তের নজর দেবেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা। বর্তমানে কাকলি দেবীর দেহ রয়েছে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

মামলাকারি জয়দ্বীপ দাসের পক্ষের আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ গত ২২শে এপ্রিল ২০২০ সালে মিডল্যান্ড নার্সিংহোমে করোনার রোগ নিয়ে ভর্তি হন কাকলি সরকার। হঠাৎ তার পরিবারের কাছে গত ২৪শে এপ্রিল ফোন আসে তার অবস্থা খারাপ। কাকুলি দেবীর ভাই জয়দীপ দাস তৎক্ষণাৎ ওই নার্সিংহোমে জান। তিনি আইসিওতে ঢোকার পর তার দিদি তার কাছে জানান এই নার্সিংহোমে একটা পাচার চক্র চলছে। করোনা আক্রান্ত সমস্ত মৃত রোগীদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। কাকলি দেবী ভাইকে এই কথার বলার সঙ্গে সঙ্গে একজন নার্স এসে কাকলি দেবীকে একটি ইনজেকশন দেন। তখনই মৃত্যু হয় কাকলি দেবী অভিযোগ তার ভাইয়ের।

এর পরেই তাঁর পরিবার ময়না তদন্তের দাবি জানায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর দেখা যায় কাকলি দেবী মুখ দিয়ে গ্যাজলা উঠে মারা গেছেন। হাতে ও তার ইনজুরি রয়েছে। প্রশ্ন উঠছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে এই ধরনের পরিস্থিতি কেন সৃষ্টি হবে।

আইনজীবী জয়ন্ত বাবু আর জানান কাকুলি দেবীর পরিবার রাজ্যের হেলথ রেগুলেটরি কমিশনের দ্বারস্থ হন। কমিশনের চেয়ারম্যান নির্দেশ দেন ওই মিডল্যান্ড নার্সিংহোম কোন রোগী ভর্তি করতে পারবে না। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয়।

পরিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। হাইকোর্টে পরিবারের পক্ষের আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন ৩০৪ নয় ৩০২ ধারায় মামলা তদন্ত হোক। বেলঘড়িয়া থানা নয়, সিআইডি অন্য কোনো তদন্তকারী সংস্থা কে দিয়ে এর তদন্ত করানো হোক। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৬ সপ্তাহে পর।