Date : 2024-04-25

অসফল ফুসফুস প্রতিস্থাপন- মেডিকায় মৃত্যু রোগীর

সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, রিপোর্টার : গড়ার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ছিল রাজ্য। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। সফল হল না পূর্ব ভারতের প্রথম ফুসফুস প্রতিস্থাপন। প্রতিস্থাপনের চার দিন পর মারা গেলেন দীপক হালদার।

গত ২০ সেপ্টেম্বর কলকাতার মুকুন্দপুরের মেডিকা হসপিটালে প্রথম বার ফুসফুস প্রতিস্থাপিত হয়েছিল। কিন্তু অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের কারণে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হল ওই রোগীর।

গুজরাটের সুরাটে এক রোগীর মরণোত্তর ফুসফুস দানের পর তার ফুসফুসই বাংলায় প্রতিস্থাপিত হয়েছিল। কলকাতার ওই রোগী কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তার ফুসফুসের অবস্থা ভালো না থাকার জন্য একমো সাপোর্টে রাখা হয় তাকে। গ্রিন করিডোর করে ফুসফুস নিয়ে আসা হয়েছিল হাসপাতালে। সেদিন রাতেই অপারেশন হয়েছিল।

মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি ওই রোগী করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার পর ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর তারপরই অবস্থা ক্রমে খারাপ হতে শুরু করে। তারপর ১০৩ দিনেরও বেশি সময় ধরে একমো সাপোর্টে রাখা হয় ৪৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে। দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর নষ্ট হয়ে যায় তাঁর ফুসফুস। ফুসফুস প্রতিস্থাপন ছাড়া রোগীকে বাঁচানোর আর কোনও পথ ছিল না।

গুজরাটের সুরাটে এক রোগীর ব্রেন ডেথ হয়ে যাওয়ার পরে তার ফুসফুস দান করার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। খোঁজ চলে ফুসফুসের গ্রহীতার। এবং তার পরেই বাংলার এই রোগীর কথা জানা যায়। সমস্ত পরীক্ষা করার পর চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেন, ফুসফুস প্রতিস্থাপন করার।

তড়িঘড়ি যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়। শল্য চিকিৎসকদের দল উড়ে যান গুজরাটে। ফুসফুস কলকাতায় নিয়ে আসার প্রস্তুতি শুরু হয় এবং কলকাতা বিমানবন্দর থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত গ্রিন করিডোর করার ব্যবস্থাও শুরু হয়। প্রস্তুতি শুরু হয় হাসপাতালেও। চিকিৎসক কুণাল সরকারের নেতৃত্বে ২০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে হয়েছিল এই প্রতিস্থাপন। অপারেশনের পর ৯৬ ঘন্টা অবজারভেশনে রাখা হয় দীপক হালদারকে তবে শেষরক্ষা হল না।