Date : 2024-04-24

সর্বনাশের ফাঁদ মোবাইল গেমে

পৌষালী সেনগুপ্ত রিপোর্টার : মোবাইল ফোন আজকের প্রজন্মের হাতে থাকবে না এটা অসম্ভব। আজ তারা মোবাইল ফোনে শুধু হোয়াটস অ্যাপ নয় তাতে থাকা অনলাইন মোবাইল গেমের নেশায় বুঁদ। আর তাতেই রয়েছে বিপদ।তারা খোয়াচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।সবসময় যে প্রতারিত হচ্ছে তা নয়, গেমের ভার্চুয়াল উপকরণ কিনতে খরচ করছে প্রচুর টাকা।মোবাইলের ১০ ইঞ্চি স্ক্রিনের মধ্যেই সমস্ত জগৎ।আর এই ভার্চুয়াল মাধ্যমে অমোঘ আকর্ষণে থেকে বেরিয়ে আসা দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে। বিশেষ করে কমবয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে অনলাইন গেমস-এর নেশা বেড়েই চলেছে।

শুধু কী তাই, গেমে মজেছেন রোজগেরে যুবকরাও। আর এই গেমের ফাঁদে পা দিয়ে প্রচুর টাকা নষ্ট করছেন তাঁরা। নষ্ট করা সেই অর্থের পরিমাণ প্রায় লক্ষ লক্ষ টাকা।এই গেমে রয়েছে বিভিন্ন ধাপ। এক একটা ধাপ পার করলে পরের ধাপে যাওয়া যাবে। সেই ধাপে পৌঁছাতে গেলে লাগবে অর্থ। আবার অর্থ দিলেই যে আপনি জিতে যাবেন এমনটা নয়। কিন্তু অর্থ না দিলে এগোতে পারবেন না। আর এই খেলাগুলির আকর্যণ এতটাই যে আপনি অর্থ দিয়ে খেলতে চাইবেনই।এই খেলায় যে শুধু উচ্চবিত্তরা অংশ নেন এমনটা কিন্তু নয়।এই খেলায় অংশ নেন বহু কষ্ট করে রোজগার করেন তারাও।

ফলে তারা এই নেশায় বুঁদ হয়ে খোয়াচ্চেন প্রচুর টাকা। সাংসারিক অশান্তি থেকে আত্মহত্যা, সবই ঘটছে এই মোবাইল গেমের কারণে। যদিও এই গেমগুলি শুরুর আগে কোম্পানীর তরফে সতর্কীকরণ বার্তা দেওয়া থাকে। এই দিয়েই তারা তাদের দায় ঝেড়ে ফেলতে পারেন। কিন্তু ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে বর্তমান প্রজন্মের। আর তাই এই প্রবণতাকে রুখতে বর্তমান প্রজন্মকে সচেতন করার জন্য উদ্যোগী হয়েছেন পুলিশ প্রশাসন।

মূলত অনলাইনে ফ্রি ফায়ার, ব্যাটেল ফিল্ড, সিওসি, পাবজি এই ধরনের গেমেরই বেশি চল রয়েছে। সেই গেমগুলিতে বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে। ধাপে-ধাপে পর্যায়গুলি পেরতে হয়। এই অ্যাকশন গেম খেলার জন্য বেশকিছু ভারচুয়াল উপকরণ কিনতে হয়। যার জন্য প্রচুর টাকার প্রয়োজন। উপকরণগুলি কিনলে তবেই গেমের পরবর্তী পর্যায়ে যাওয়া সহজ হয়। আর তাই অর্থের বিনিময়ে একের পর এক উপকরণ কেনার নেশায় বুঁদ হয়েছে যুবসমাজ।