Date : 2024-03-28

PAC CASE : পিএসি মামলা,হাইকোর্ট থেকে ফিরলো বিধানসভাতেই

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার : বিধানসভায় পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় এই মুহূর্তে কলকাতা হাইকোর্ট কোনরকম হস্তক্ষেপ করছেন না রাজ্য বিধানসভার পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায় কে নিযুক্ত করায় বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় কলকাতা হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন।সেই মামলার শুনানির শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন ডিভিশন বেঞ্চ। আবেদনকারী বিজেপির বিধায়ক অম্বিকা রায়ের পক্ষের আইনজীবী বিল্লো দল ভট্টাচার্য আদালতে জানিয়েছিলেন ২০২০ এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন মুকুল রায়।বিজেপি দল থেকে বিধায়ক পদে ইস্তফা না দিয়েই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন।তাই বিজেপিকে না জানিয়েই তাঁকে পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত করেছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যা বিধানসভার রীতি বিরুদ্ধ কাজ তাই আদালত এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক ।

যদিও রাজ্যের প্রাক্তন এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত দাবি করেছিলেন মুকুল রায় বিজেপি বিধায়ক হিসেবে রয়েছেন। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশদেন আগামী ৭ই অক্টোবর আদালতের আবেদনের বিষয়টি বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এর কাছে পেশ করতে হবে । সেক্ষেত্রে তিনি যদি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান সংক্রান্ত বিষয় পরবর্তী সময়ে কলকাতা হাইকোর্ট উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।পাশাপাশিমুকুল রায়ের মামলায় স্পিকারের ভূমিকায় অসন্তোষ হাইকোর্ট।

স্পিকার ট্রাইব্যুনালের ভূমিকা পালন করেন। মে মাসে বিজেপি বিধায়ক। 11 জুন তৃণমূল জয়েন করেন। পদ খারিজের আবেদন করা হয়েছিল ১৭ই জুন। যেটা এখনও বিচারাধীন আছে। দল বদলের বিষয় টি সবার জানা। মুকুল রায়কে pac চেয়ারম্যান করা নিয়ে ৫৪ বছরের ঐতিহ্য কে পালন করা হয়েছে।

সত্যি হল যে স্পিকার বেআইনি কাজ করেছে। এমন একজনকে বেছে নেওয়া হয়েছে যিনি দল ছেড়েছেন। সত্যি যদি তাঁর পদ খারিজ হয়ে যায়, তাহলে তিনি বিধায়ক কি ভাবে থাকবেন। তাহলে চেয়ারম্যান হবেন কি ভাবে! স্পিকার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। মনে হচ্ছে কারও পরামর্শ মত কাজ করেছেন। উনি নিজের জালে নিজেই জড়িয়ে গিয়েছেন।সময়ের মধ্যে আবেদনের নিষ্পত্তি করার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা স্বত্তেও, স্পিকার এই ফাইল চেপে বসেছিলেন।মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে দায়ের হওয়া মামলার সঙ্গে PAC চেয়ারম্যান পদে থাকার বিষয়টি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বিধায়ক পদ খারিজের আবেদনটি তিন মাসের বেশি সময় ধরে পরে আছে।

সাত অক্টোবরের শুনানিতে স্পিকারকে এই ব্যাপারে তার সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। যদি তা না হয় তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে হাইকোর্ট।