Date : 2024-04-25

হলুদের বে-গুণ : এক অজানা তথ্য

প্রবীর মুখার্জি : হলুদ আমাদের জীবনে এক অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে। হলুদের গুণাগুণ সম্পর্কে কম-বেশী আমরা প্রায় সবাই ওয়াকিবহাল। জীবাণুনাশক এই হলুদ জীবজগতে নানা রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। প্রায় প্রতিটি রান্নার পদে এর ব্যবহার যেমন আছে। তেমনই আবার ত্বকের পরিচর্চাতেও হলুদের জুড়ি মেলা ভার। ঘরোয়া নানা তর্কে হলুদের গুণাগুণ নিয়ে আমরা জোরদার আলোচনা করি। কিন্তু, হলুদের কি কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই….!

আছে। তবে, তা অনেকেরই অজানা। হুলুদের মধ্যে থাকে ক্যলসিয়াম অক্সালেট। যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের পাকস্থলী হজম করতে পারে না। ভিতর থেকে একটা ঢেকুর দিতে থাকে। শুধু তাইই নয়, হজম না হওয়ার ফলে এই ক্যালসিয়াম অক্সালেট ভবিষ্যতে আমাদের কিডনিতে পাথরও তৈরি করতে পারে। ফলে শারীরিকভাবে আমাদের ভুগতে হয়। গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে আবার হলুদ মারাত্মক ক্ষতিকর। মেনস্ট্রুয়াল ফ্লোকে উৎসাহিত করে। গর্ভবতীদের শরীরে হলুদ ইউটেরাইন স্টিমুল্যান্ট হিসেবে কাজ করে থাকে হলুদ। ক্যানসার প্রতিরোধে অন্যতম ভূমিকা পালন করে থাকে হলুদ। এটা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু, যাদের কেমোথেরাপি চলছে, তাঁদের হলুদ না খাওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, কেমোথেরাপি চলার সময়ে অতিমাত্রায় হলুদ খেলে তার প্রভাব নষ্ট করে দেয় হলুদ। অতিরিক্ত হলুদ সেবনে রক্ত তঞ্চনেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।

শুধুই কি তাই, দীর্ঘদিন ধরে হলুদ সেবনের ফলে পেটের নানা সমস্যা দেখা দেয়। হজমের সমস্যা তো হতেই পারে, গা বমি ভাবও অস্বাভাবিক নয়। এমনকি কারও ক্ষেত্রে ডায়ারিয়া পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়াও হলুদ দীর্ঘদিন সেবন করার ফলে বেশি বয়সে গিয়ে বিভিন্ন ওষুধের সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটায়, স্টেরয়েডের কার্যক্ষমতাও ধীরে ধীরে হ্রাস পায় শরীরে। ত্বক চর্চায় হলুদের ব্যবহার সেই প্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে। কিন্তু, এই হলুদের জন্য আলার্জি হওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়। সুতরাং, ” হলুদ খান আর বিন্দাস থাকুন।” এটা কিন্তু আর বলা যাবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হলুদ সেবন করুন। সুস্থ থাকুন। ভালো থাকুন।