Date : 2024-04-19

রাজ্যের প্রকল্পে অসহযোগিতার জের। বেসরকারি ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ !

সঞ্জু সুর, রিপোর্টার : বারবার বলা সত্ত্বেও রাজ্যের বেশকিছু প্রকল্পের ক্ষেত্রে উপভোক্তাদের সাথে অসহযোগিতা করছে বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাঙ্ক। এবার এইসব ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্য সরকার। প্রয়োজনে অসহোযোগ করা ব্যাঙ্কগুলো থেকে নিজেদের অ্যাকাউন্ট সরিয়ে নেওয়ার পথেও হাঁটতে পারে নবান্ন।

কিষাণ ক্রেডিট কার্ড থেকে শুরু করে স্বনির্ভর গোষ্ঠী কে ঋণ দেওয়া। এসব ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের টালবাহানা করছে অনেক ব্যাঙ্ক। হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে উপভোক্তাদের। ফলে ক্ষোভ গিয়ে পড়ছে সরকারের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি নতুন শুরু হ‌ওয়া স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রেও অনাবশ্যক দেরি করছে বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাঙ্ক। এমন কি বেশ কিছু ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ও এসেছে সেখানে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণের আবেদন জানালে জমি বাড়ির দলিল জমা রাখতে বলা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে এই বিষয়টি নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি।

শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী প্রতিটা জেলাশাসকদের একটি নোট পাঠিয়েছেন। সূত্রের খবর সেই নোটে মুখ্যসচিব লিখেছেন, “এটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বারবার বলা সত্ত্বেও স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে গড়িমসি করছে বেশকিছু ব্যাঙ্ক। মূলতঃ বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলোই এটা করছে। ফলে অনেক ছাত্র ছাত্রীই এই শিক্ষাবর্ষে ঋণ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।” মুখ্য সচিব আরো বলেছেন, বেশিরভাগ সরকারি ব্যাঙ্ক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেও, কিছু সরকারি ব্যাঙ্ক ও অধিকাংশ বেসরকারি ব্যাঙ্ক চূড়ান্ত অসহযোগিতা করছে।
এই অবস্থায় জেলাশাসকদের কে নিজ নিজ জেলায় সেইসব ব্যাঙ্কের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে যারা সরকারি প্রকল্পের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে না। সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছেন, প্রয়োজনে এইসব ব্যাঙ্কে সরকারের কোনো বিভাগের বা দফতরের কোন‌ও রকম অ্যাকাউন্ট থাকলে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। সরকারের ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পে অংশ না নিলে সেখানেই বা সরকার অ্যাকাউন্ট রাখবে কেন ? ঐসব ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে সেই অ্যাকাউন্ট যেসব ব্যাঙ্ক সরকারি প্রকল্পের ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সেখানে খোলা হবে।শুধুমাত্র ব্যাঙ্কের অসহযোগিতার কারণে রাজ্যের বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের উদ্দেশ্য নষ্ট হতে দিতে রাজি নয় নবান্ন। তাই প্রয়োজনে এই ধরনের কড়া পথেই হাঁটতে চাইছে রাজ্য।