Date : 2024-04-26

কানপুরে গঙ্গার ফুলে এবার ধূপকাঠি তৈরি

স্মৃতি বিশ্বাস : গঙ্গা জলে গঙ্গা পুজোর কথা শুনেছেন, এবার শুনুন গঙ্গার ফুলে দেবী পুজোর কথা। শুধু তাই নয়, এরফলে দূষণ থেকে কিছুটা রেহাইও পাচ্ছে গঙ্গা। সৌজন্যে কানপুরের এনজিও হেল্প আস গ্রিন ফাউন্ডেশন। উত্তরপ্রদেশের কানপুরে বিস্তীর্ন অংশ জুড়ে রয়েছে গঙ্গার অবস্থান। গঙ্গার পাড় জুড়ে রয়েছে বহু মন্দির। বহু প্রচার করেও মন্দিরের ফুল আবর্জনা গঙ্গায় ফেলে দেওয়া বন্ধ করা যায়নি এখনও। তাতে দূষণ বাড়ছে হু হু করে। কানপুরে গঙ্গার পাড়ে বসে প্রায়ই সেই ছবিটা দেখতেন অঙ্কিত আগরওয়াল। মাথায় আসে গঙ্গায় ফেলে দেওয়া এই ফুল আবর্জনার যদি পুনর্ব্যবহার করা যায় কেমন হয়। যেমন ভাবা তেমন কাজ।

অঙ্কিত তাঁর কয়েকজন বন্ধুর সহযোগিতায় গঙ্গায় ফেলে দেওয়া ফুল থেকে তৈরি করেন ধূপকাঠি। এখানেই শেষ নয়। মন্দিরের ফেলে দেওয়া আবর্জনা থেকে তৈরি করেন গাছের সার। প্রথমদিকে অঙ্কিত ও তাঁর কয়েকজন বন্ধু মিলে কাজটি শুরু করলেও পরে এই প্রচেষ্টা বড় আকার নেয়। তৈরি করেন হেল্প আস গ্রিন ফাউন্ডেশন। যেখানে ধূপ ও সার তৈরির কাজে বহু মহিলা রোজগারের সুযোগও পেয়েছেন। এই সংস্থার তৈরি ধূপে ব্যবহার করা হয় না চারকোল বা কোনও কেমিক্যাল। কানপুরের বাজারে এই ধূপের চাহিদাও বেশ ভালো। রিপোর্ট বলছে গঙ্গায় প্রতি বছর 4 মিললিয়ন জঞ্জাল ফেলা হয়। বহু পদক্ষেপ, বহু প্রচার সত্ত্বেও কমানো যায়নি দূষণের প্রবণতা। তবে হেল্প আস গ্রিন ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগে কিছু কমেছে গঙ্গা দূষণ। অঙ্কিত চাইছেন এই উদ্যোগ প্রত্যেকটি শহরে নেওয়া হলে গঙ্গা বাঁচবে আর রোজগারের দিশাও খুলবে।