সঞ্জু সুর, রিপোর্টার : “রাজ্যের সাম্প্রতিক বন্যার জন্য দায়ী ডিভিসি। রাজ্যকে আগাম না জানিয়ে জল ছাড়ার জন্যই দক্ষিণবঙ্গের এই জেলাগুলি বন্যা কবলিত হয়েছে। সাড়ে ৫ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। প্রতিবছর চার-পাঁচবার এমন করে জল ছেড়ে বাংলাকে ডুবিয়ে দেয় ডিভিসি। এমন চলতে থাকলে এবার ডিভিসির কাছে প্রয়োজনে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারি।” শনিবার আরামবাগের কালীপুরে জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে এইভাবেই একের পর এক ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জুলাই আগষ্ট মাসে রাজ্যের দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলো বন্যার কবলে পড়েছিলো মূলত অতিবৃষ্টির কারণে। সেইসঙ্গে ডিভিসির ছাড়া জলও বিপদ বাড়িয়েছিল। কিন্তু এবারের বন্যা কোনো অতিবৃষ্টির কারণে নয়, এই বন্যার জন্য একমাত্র দায়ী ডিভিসি-র ছাড়া জল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি,”একে তো বৃষ্টি তার উপর জল ছাড়ার আগে আমাদের জানায় নি পর্যন্ত। এটা ক্রাইম।” ঝাড়খন্ড থেকে জল ছাড়ার কারণেও যে বঙ্গের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে সে কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন “ঝাড়খন্ডের সরকারের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। ওরাও প্রয়োজনে ডিভিসি-র সঙ্গে কথা বলুক।” মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ডিভিসি যদি ঠিক মত ড্যাম বা ব্যারেজ গুলোর পলি পরিষ্কার করার কাজ করতো তাহলে আরও অন্তত দুই লক্ষ কিউসেক জল ধারণ করতে পারত বাঁধ গুলি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি অনুরোধ করব যাতে বাঁধ গুলো সংস্কার করে। না হলে হয়তো একদিন এমন আসবে যেদিন ডিভিসির কাছে আমাদের ক্ষতিপূরণ চাইতে হতে পারে। সব টাকা তো জলেই চলে যাচ্ছে। ঝাড়খন্ড সরকারকে বলবো আমাদের সঙ্গে বসে একটা প্ল্যান তৈরি করতে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারকে বলব এই বিষয়টি নিয়ে একটা মাস্টার প্ল্যান তৈরি করুন।”
শনিবার হাওড়া, বাঁকুড়া, হুগলী সহ দক্ষিণ বঙ্গের প্লাবিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনই বন্যা নিয়ে নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক করেন তিনি।