Date : 2024-04-24

আগে প্রায়শ্চিত্ত, তারপর ঘর ওয়াপসি। জানালেন অভিষেক

সঞ্জু সুর, রিপোর্টার : “যাদের দলে নিচ্ছি তাদেরকে দিয়ে রীতিমত প্রায়শ্চিত্ত করিয়ে তবেই নিচ্ছি।” খড়দহে উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলবদলুদের দলে ফেরত নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে অবশেষে খোলসা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন সাধারণ কর্মিদের আবেগ কে মান্যতা দিয়েই যা করার তা করা হবে।

বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। ভোটের ফল প্রকাশের পর তাঁদের অনেকেই আবার হয় তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন, নয় তো তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে বারবার বিভিন্নভাবে বার্তা পাঠাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায়, বিশ্বজিৎ দাস, সব্যসাচী দত্তেরা। দলে নেওয়া হয়েছে সুষ্মিতা দেব, বাবুল সুপ্রিয়-র মতো কংগ্রেস ও বিজেপির প্রাক্তণ সাংসদ মন্ত্রীদের। এখনো দলে ফেরার জন্য বারবার ফিলার পাঠাচ্ছেন অনেকেই। সূত্রের খবর সেই তালিকায় রয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সোনালী গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাস সহ একঝাঁক প্রাক্তণ তৃণমূল নেতা নেত্রী। তৃণমূল থেকে যাওয়া নেতাদের আবেদন তো রয়েইছে। তালিকায় রয়েছেন বিজেপির টিকিটে জেতা বিধায়করাও। এই প্রসঙ্গে অভিষেকের বক্তব্য, “যদি সবাইকে নেওয়ার জন্য দরজা খুলে দিই, তাহলে ওদের দল ই উঠে যাবে।” সবাইকে যে দলে নেওয়া হবে না সেটা নিশ্চিত করতেই অভিষেক আরো বলেন, “আমি নেত্রীর পা ধরে প্রতিজ্ঞা করেছি সাধারণ কর্মিদের আবেগ কে আঘাত করে কোনো বিশ্বাসঘাতককে দলে নেবো না।” কিছুদিন আগেই সব্যসাচী দত্তকে দলে ফেরানো নিয়ে দলের অন্দরেই বিধায়ক, মন্ত্রীদের অসন্তোষ প্রকাশ্যে চলে এসেছিলো। শনিবার খড়দহের জনসভায় করা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য তাতে প্রলেপ দেবে কি না তা সময়েই বলবে। তবে রাজীব, সোনালীদের ঘর ওয়াপসি আপাতত কিছুটা ঠান্ডা ঘরে চলে গেলো বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।