পৌষালী সেনগুপ্ত, নিউজ ডেস্ক : আসরফ গণি সরকারের পতন ঘটিয়ে কাবুলের মসনদে অধিষ্ঠিত হয়েছে তালিবান । সরকারে আসার পর আন্তর্জাতিক স্তর ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আফগানিস্তানের নামে জমা থাকা অর্থ ব্যবহারের ওপর জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। আমেরিকার চাপের কাছে এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। তারপর থেকেই সরকার চালাতে চরম অর্থ কষ্টের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তালিবানকে।রাষ্ট্রপুঞ্জের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, তালিবান শাসনে আফগানিস্তানে ভেঙে পড়তে পারে ব্যাঙ্ক ও আর্থিক ব্যবস্থা। ইউনাইটেড নেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে আফগানিস্তান ব্যাঙ্ক ও আর্থিক ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ার মুখে।কাবুলের শাসনভার তালিবানের হাতে যাওয়ার পর থেকেই আন্তর্জাতিক বরাদ্দ অর্থের ওপর দাঁড়ি টেনেছিল আমেরিকা। তারপরেই বিপুল সমস্যার মুখোমুখি পড়েন তালিব শাসকরা। দ্রুত সমস্যা সমাধানের কথা বললেও এখনও অবধি সেইসব সমস্যা সমাধানের পথে অগ্রসর হতে পারেনি নয়া শাসকরা।জানা গিয়েছে, বর্তমানে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক আমানতের চাহিদা মেটাতে পারেনি। শাসনভার হাতে তুলেন নেওয়ার পর থেকেই সপ্তাহে ২০০ সর্বোচ্চ ২০০ মার্কিন ডলার ব্যাঙ্ক থেকে তোলার বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল তালিবান। এরফলে সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই কারণে টাকা তোলার উর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে সপ্তাহে ৪০০ মার্কিন ডলার করা হয়েছে। আফগানিস্তানে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা টাকা জমা দেওয়ার পরিমাণ ২৮০ কোটি মার্কিন ডলার থেকে কমে ২০০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।সম্প্রতি দেশের আর্থিক সমস্যা সমাধানে বিদেশি মুদ্রা ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তালিবান।দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার পতন রোধ করার জন্য, ইউএনডিপি তাৎক্ষণিক এবং সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপের জন্য আহ্বান জানিয়েছে।বিদেশি মুদ্রা ব্যবহার করলে শাস্তির নিদান দিয়েছিল তালিবান। কিন্তু বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে এই নিদান কতটা কার্যকর থাকবে সেটাই এখন প্রশ্নের।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.