Date : 2024-04-20

এল নিনোর প্রভাব – এবার ‘শীতলতম শীতের’ পথে ভারত

সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, রিপোর্টার : মরশুমের শুরুতেই নিম্নচাপের জেরে ধাক্কা খেয়েছে শীত। গোটা রাজ্য জুড়ে উধাও শীতের আমেজ। গত ৫ দিনে ৫ ডিগ্রি বেড়েছে রাজ্যের তাপমাত্রা। সোমবার অবধি বৃষ্টির সম্ভাবনা। তারপর ফের শীতের আমেজ শুরু। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন এই মরশুমই হতে চলেছে শীতলতম শীতের মরশুম।

আবহাওয়াবিদ এবং পরিবেশবিদ সুজীব কর জানাচ্ছেন বিশ্ব উষ্ণায়ন নয় হতে চলেছে বিশ্ব হিমায়ন। এবার থেকে প্রতি বছরেই কনকনে ঠাণ্ডা পড়বে। উত্তরোত্তর কমবে তাপমাত্রা। এবং এই মরশুমে একদিনের মধ্যেই তাপমাত্রার পতন ঘটবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, একদিনের মধ্যেই ৪-৫ডিগ্রি কমতে থাকবে তাপমাত্রা। ফেব্রুয়ারির শেষ অবধি হাড়কাঁপানো শীতই থাকবে। পুরুলিয়ার দিকে তাপমাত্রা নেমে যাবে ১-২ ডিগ্রিতে। হতে পারে বরফপাতও। কলকাতায় তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে ৭-৮ডিগ্রিতে। পাহাড়ের তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে -৬ ডিগ্রিতে।

কিন্তু কেন এই শীতলতম শীতের মরশুম? এর জন্য দায়ী এল নিনো বা লা নিনা। এটি একটি স্প্যানিশ শব্দ, যার মানে ‘বালক’। প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব দিকে সৃষ্ট উষ্ণ সমুদ্রস্রোতকে এল নিনো বলে। দক্ষিণ আমেরিকা সংলগ্ন প্রশান্ত মহাসাগরের পেরু উপকূলে উষ্ণ সমুদ্র স্রোতটি তৈরি হয় বলে এর নাম এল নিনো। যার ফলে স্বাভাবিক আবহাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এল নিনোর ফলে উত্তর গোলার্ধে হিমশীতল শীত সৃষ্টি হয়। ভারতের কিছু অংশে আঘাত হানার সম্ভাবনাও রয়েছে।

উল্লেখ্য ২০১০, ২০১৬, ২০১৭, ২০২০ সালেও এল নিনোর প্রভাব দেখা গিয়েছে। এক দশকের ব্যবধানে পাঁচবার এল নিনোর প্রভাব দেখেছে ভারত। বিশেষজ্ঞরা সমুদ্রের ক্রমাগত উষ্ণতা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন। তবে এবারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এল নিনো ২০২২ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে শীতলতম শীত নিয়ে আসবে। ইতিমধ্যেই দেশে আগাম সতর্কতা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই মতো।