Date : 2024-04-19

কোভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দিল অস্ট্রেলিয়া

মাম্পি রায়, নিউজ ডেস্ক : এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পায়নি দেশে তৈরি কোভ্যাক্সিন। এই নিয়ে মোদী সরকারকে একাধিকবার বিরোধীদলের আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে। এই ভ্যাকসিন নিলে বিদেশে পড়াশুনো করতে গেলে আটকে দেওয়া হচ্ছে ভারতীয় পড়ুয়াদের।  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই ইস্যুতে  ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী কী করে কোভ্যাক্সিন নিয়ে বিদেশ সফর করছেন? প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।  দেশে শাসক বিরোধীর বাকযুদ্ধের মাঝেই এবার কোভ্যাক্সিনকে স্বীকৃতি দিল অস্ট্রেলিয়া।

সোমবার সে দেশের সরকার একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভিড ভ্যাকসিন নিয়েও অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করা যাবে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য  কোভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দেয় ভারত। অক্টোবর পর্যন্ত এ দেশের মোট টিকা প্রাপকদের ১১ শতাংশের কিছু বেশি মানুষ কোভ্যাক্সিন পেয়েছেন। এছাড়া, বাংলাদেশ-সহ বেশ কিছু দেশে কোভ্যাক্সিন সরবরাহ করেছিল ভারত বায়োটেক। কিন্তু, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃতি না পাওয়ায় কোভ্যাক্সিন নিয়ে প্রশ্ন  ওঠে।

জি -২০ সামিটেও আন্তর্জাতিক অনুমোদনের বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানান, আগামী বছর ভারত প্রায় ৫০০ কোটি টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে চাইছে। তা হলে সারা বিশ্বে করোনা প্রতিরোধে এই পদক্ষেপ ফলপ্রসূ হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এরপর সোমবারই ভারত বায়োটেকের  তৈরি কোভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দেয় অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত পণ্য নিয়ামক সংস্থা থেরাপিউটিক গুডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। পাশাপাশি চিনা সংস্থা সিনোফার্মের  বিবিআইবিপি-কোরভি ভ্যাকসিনকেও ছাড়পত্র দেয় তারা। ১২ বছর এবং তার ঊর্ধে কোভ্যাক্সিন নিলে ভ্রমণ করা যাবে অস্ট্রেলিয়ায়। চিনের কোরভি-র ক্ষেত্রে বয়সসীমা ১৮ থেকে ৬০ বছর। তবে টিকার সম্পূর্ণ ডোজের শংসাপত্র না দেখাতে পারলে, বিমানবন্দর থেকেই চলে যেতে হবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে। জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার থেরাপিউটিক গুডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।