Date : 2024-04-19

গান ফায়ার থেকে কার্বাইটের আলো সবই যেন অতীত।তবুও শতবর্ষে বি,কে,পালে জগদ্ধাত্রীর জৌলুস আজও অটুট রয়েছে

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার: উত্তর কলকাতার শোভাবাজার বটকৃষ্ণ পাল নামটা শুনলে অনেকের কাছেই স্পষ্ট হয় না কিন্তু এককথায় বি,কে,পাল নামটা শুনলেই স্পষ্ট হয়ে যায় কলকাতা শহরের কোথায় অবস্থিত এই রাস্তাটি| আদি পুজো হাওড়া শিবপুর।মা অভয়া দুর্গার আরেকটি রূপ মা জগদ্ধাত্রী কে কলকাতার বট কৃষ্ণ লেনের এই বাড়িতে ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠান করেন স্বয়ং বট কৃষ্ণ পাল। বর্তমানে ১০০ বছর পেরিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বাড়ির সদস্য চন্দ্রিমা পাল।তিনি আর জানান সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খাওয়া বিশ্রামের সময় টুকু পাওয়া যায় না।ঠাকুরের সাজসজ্জা থেকে আচাবিধি সব বাড়ির মহিলাদের ই সামাল দিতে হয়।
একদিনেই ষষ্ঠী থেকে দশমীর পূজা হয়ে যায় পাল বাড়িতে। নবমীর কুমারী পূজা হয় জাঁকজমকভাবে।তবে পাল বাড়ির জগদ্ধাত্রী র আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে।মা জগদ্ধাত্রী র বাহন সিংয়ের শরীরের চুল ব্যবহার করা হয় না।তাঁর বদলে ব্যবহার হয় আকন্দ তুলে পড়ানো হয়।ঠাকুরের চালচিত্র সম্পূর্ণ রুপো দিয়ে তৈরি।ঠাকুর কে নিজেদের পছন্দের বেনারসি পড়ানো হয়।ঠাকুরের সাজ বাড়ির মহিলারাই পড়ান।পুজোর দিনে মা জগদ্ধাত্রী কে ৪০মোন চাল উৎসর্গ করা রেওয়াজ আজ পালন করে আসা হয়।
প্রতি বছর জগদ্ধাত্রী পুজোসময় সন্ধি পুজোতে বন্দুক উঁচিয়ে গুলি চালানো রেওয়াজ ছিল।এখন বিভিন্ন কারণে, পুলিশের অনুমতির সমস্যা কারণে আজ তা হয়ে ওঠে না।কার্বাইটের আলো দিয়ে সাজিয়ে প্রতিমা শোভাযাত্রা বের হতো।করোনা আবহে গত দু বছর ধরে তা বন্ধ রয়েছে বলে জানার বাড়ির ছোট ছেলে অরিন্দম পাল।

চন্দননগরএবং কৃষ্ণনগর দুটি বিখ্যাত জায়গাতেই নামকরা জগদ্ধাত্রী পুজো হয় শহর কলকাতার মানুষই শুধু নয় শহরতলীর মানুষের পৌঁছে যান চন্দননগর এবং কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে কিন্তু মা জগদ্ধাত্রী পূজার শুধু এই দুটি জেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জগদ্ধাত্রী পুজো হয়ে থাকে।