Date : 2024-04-20

চোখ রাঙাচ্ছে উষ্ণ মহাসাগরীয় স্রোত ‘এল নিনো ‘

মাম্পি রায়, নিউজ ডেস্ক : গ্রীষ্ম ও বর্ষার পর শীতেরও চরমতম পরিণতি হতে চলেছে। অর্থাৎ গরমে চরম গরম, বর্ষায় অস্বাভাবিক বৃষ্টির জেরে ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতির সাক্ষী থেকেছে উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র, কেরালা সহ একাধিক রাজ্য। একইভাবে শীতও মারাত্মক রূপ ধারণ করতে চলেছে এবছর। যার প্রভাব পড়বে এরাজ্যেও। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, এবছর
চরমে পৌঁছবে শীত। পুরুলিয়া, বীরভূম ও বাঁকুড়ার তাপমাত্রা 1-2 ডিগ্রিতে পৌঁছতে পারে। বর্ধমান, পানাগড় ও দমদমে তাপমাত্রা নামতে পারে 3-4 ডিগ্রিতে। কলকাতায় 8 ডিগ্রি পর্যন্ত নামতে পারে তাপমাত্রা। এছাড়া মুর্শিদাবাদ, মালদা, নদিয়া, উত্তর 24 পরগনায় তাপমাত্রা পৌঁছতে পারে 5-6 ডিগ্রির ঘরে।  অন্যদিকে   দক্ষিণ 24 পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে 10-12 ডিগ্রি পর্যন্ত নামতে পারে তাপমাত্রা।  রাজ্যে বহু প্রতিক্ষীত শীত পড়লেও, এটা একেবারেই শুভ লক্ষ্মণ নয় বলে জানাচ্ছেন পরিবেশবিদ সুজীব কর। এই চরম শীতের পিছনে দায়ী করা হচ্ছে এল নিনোকে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, 

কী এই এল নিনো ?
এল নিনো হল উষ্ণ মহাসাগরীয় স্রোত।
যা প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ভারত মহাসাগরে প্রবেশ করে।
এর প্রভাবে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায় জলীয় বাস্পের পরিমাণ।
ফলে জলভাগে তৈরি হয় শক্তিশালী নিম্নচাপ।
এর জেরে বারবার ঝড়ঝঞ্ঝার পরিস্থিতি তৈরি হয় ।
স্প্যানিশ শব্দ এল নিনো-র অর্থ বালক। মূলত পেরু উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে শুরু করে অষ্ট্রেলিয়া পর্যন্ত সমুদ্রস্রোতকে তৈরি করে এই মহাসাগরীয় স্রোতটি। এরইমধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে এই স্রোত। গত 17 বছর ধরে এলনিনোর প্রভাব লক্ষ্য করছেন আবহবিদরা।


 এল নিনো সক্রিয় হলেই বিপদ! 
নিনো নামক জলবায়ু চক্রটি সক্রিয় হলেই বিপদ
এর ফলে সক্রিয় হয়ে উঠছে জলভাগ
যার প্রভাবে বঙ্গোপসাগর এবং আরবসাগরে বাড়ছে ঘূর্ণিঝড়ের দাপট
গলছে দক্ষিণ মেরুর বরফ
এর ফলে বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এলনিনো নতুন কিছু নয়। 2010, 2016, 2017 এবং 2020সালেও এর প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। এর পিছনে কারণ একটাই, তা হল গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়ণ। যা নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে, বারবার ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে গোটা বিশ্বকে।