Date : 2024-04-20

জলাজমি বুজিয়ে যেকোন নির্মাণ তা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার: সোমবার অন্তর্বর্তী কালীন রায়ে ফের মন্তব্য আদালতের।পুলিশ এবং পুরসভাকে অবিলম্বে নজরদারির নির্দেশ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের। উত্তর দমদম পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত উত্তর নিমতা অঞ্চলের১২কাঠা জলাশয় হিসেবেই দেখে আসছেন এলাকার বাসিন্দারা।ওই এলাকায় কোন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে ত্রাতার ভূমিকায় ওই জলাশয় কেই ব্যবহার করতেন অগ্নিনির্বাপক দফতর এবং সাধারণ মানুষেরা হাইকোর্টে এমটাই দাবি করলেন আবেদাবকারীরা।

আবেদনকারী রাখাল চন্দ্র সাহা সহ বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষের আইনজীবী ফিরদৌস শামীম আদালতে জানান ওই জলাশয়ের বর্তমান মালিক তিনজন।অসাধু উপায়ে ভূমি ও রাজস্ব দফতরে রেকর্ড ছিল জলাজমি।কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা সেটা বস্তু জমিতে রূপান্তরিত করে বলে অভিযোগ।কিন্ত উত্তর দমদম পুরসভা এবং রাজ্যের মৎসদফতরের জলাজমি হিসেবেই বর্তমানে নথিভুক্ত রয়েছে বলে জানান আইনজীবী।
তিনি আর বলেন ২০১৯ সাল থেকেই চুপিসারে একটু একটু করে বোঝানোর প্রক্রিয়া চালাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে সেই সময়ে বেশি করে জলাশয় বোঝানো হয় যে সময় রাজ্যের সমস্ত আইন আদালত বন্ধ থাকে। এবিষয় আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে স্থানীয় নিমতা পুলিশের কাছে একাধিবার অভিযোগ জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি।উত্তর দমদম পুরসভার পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয় ইতি নধ্যেই ওই জলাশয়ের তিনজন মালিকেই নোটিশ দিয়ে জানানো হয়েছে।কারণ ওই জলাশয় টি জলাজমি হিসেবেই নথিভুক্ত রয়েছে।
সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার পর বিচারপতি ঘোষের বক্তব্য কোন কোন জমিতে ছয়মাসের অধিক সময় ধরে জল থাকলে জলাশয় হিসেবে তা গণ্যহয়।জলাশয় বোঝানো ভারতীয় মৎস আইনে তা দন্ডনীয় অপরাধ।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের অন্তর্বর্তী কালীন নির্দেশ ওই জলাশয়ে কোন ভাবেই যাতে বোঝানো না হয় সে বিষয়ে নিমতা পুলিশ ও উত্তর দমদম পুরসভাকে নজরদারি করতে হবে।আগামী ১০ই নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।