Date : 2024-04-19

মুড়ি, চিঁড়েতেও জিএসটি! বিরোধীতায় রাজ্য।

সঞ্জু সুর, রিপোর্টার : মুড়ি, চিঁড়ে, পাঁপড়ের ওপর জিএসটি বসানোর প্রস্তাবে তীব্র আপত্তি জানালো রাজ্য। গত শনিবার ব্যাঙ্গালুরুতে জিএসটি সংক্রান্ত গ্রুপ অফ মিনিষ্টারদের বৈঠক বসে। সেখানেই রাজ্যের আপত্তির কথা জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বৈঠকে পৌরহিত্য করেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, কেরালা, বিহার ও গোয়ার মন্ত্রীরাও।

জিএসটি-র কর কাঠামো পরিবর্তন সংক্রান্ত ফিটমেন্ট কমিটি বেশকিছু সুপারিশ করেছে। সেই সুপারিশে রয়েছে আন-প্যাকেজড চিঁড়ে, মুড়ি, পাঁপড় বা পেন্সিল শার্পনার প্রভৃতিকে জিএসটির আওতায় নিয়ে আসা। মূলতঃ আরো বেশি অর্থ সংগ্রহের জন্যেই এই ধরনের প্রস্তাব করেছে ফিটমেন্ট কমিটি। এখানেই রাজ্যের পক্ষ থেকে আপত্তি জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি জোর দেন নতুন করে এইসব জিনিসকে করের আওতায় না এনে, যেসব প্রোডাক্ট ইতিমধ্যেই জিএসটির আওতায় আনা হয়েছে সেখানে কিভাবে কর আদায় নিশ্চিত করা যায় সেটা দেখা উচিৎ। সূত্রের খবর রাজ্যের এই প্রস্তাবে সহমত হয়েছেন উত্তরপ্রদেশ সহ বৈঠকে উপস্থিত বেশ কয়েকটি রাজ্যের প্রতিনিধি।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের মতে মুড়ি, চিঁড়ে, পাঁপড়ের মতো জিনিস গ্রাম বাংলার বাড়িতে বাড়িতে তৈরি হয়। সেগুলো ব্যবহার করেন অনেক গরীব মানুষ। এগুলোকে জিএসটির আওতায় নিয়ে এলে একদিকে যেমন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তেমনি এর জন্য অধিক দাম দিতে হবে সাধারণ মানুষকেই। তাঁর বক্তব্য, এমনিতেই ব্র্যান্ডেড মুড়ি, চিঁড়ে যখন প্যাকেটজাত হয়ে বাজারে আসে তখন তা জিএসটির আওতাভুক্ত। তাহলে এখন প্যাকেটজাত নয় এমন মুড়ি, চিঁড়ে জিএসটি-র আওতায় আনা মানে গরীব মানুষের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা।
কিছুদিন আগে রাজ্যে বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভা থেকেই জিএসটি কাউন্সিলের আরো একটি বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত হয়েছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর, সেখানে তিনি দাবি করেন জিএসটি সংক্রান্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সময়সীমা, যেটা ২০২২ সালের জুন মাসে শেষ হয়ে যাচ্ছে তা আরো অনন্ত তিন থেকে পাঁচ বছর বাড়ানো হোক। রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রীর যুক্তি, এমনিতেই কোভিডের কারণে দুটো অর্থ বছর ধরে শিল্প, ব্যবসা বানিজ্য মার খেয়েছে। ফলে রাজ্যগুলোর জিএসটি আদায়ের হারও নিম্নমূখি। এদিকে কেন্দ্র এখনো জিএসটি বাবদ রাজ্যের বকেয়া সম্পূর্ণ টাকা দেয় নি। ফলে উন্নয়নমূলক কাজ বাঁধা প্রাপ্ত হচ্ছে। তবে কেন্দ্র সম্ভবতঃ জিএসটি-র ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত মেয়াদ বাড়াবে না বলেই মনে করছেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।