Date : 2024-03-29

আদালতে স্বস্তি বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার: বেলেবোড়া নয় জলঢোঁড়া ও নয় জাত কেউটে এক ছোবলেই ছবি আবার কখনো বা মারবো এখানে …..সিনেমার একাধিক সংলাপ শুনতে পাওয়া গিয়েছিলো ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে। রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে বিজেপির একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যেমন প্রচারে এসেছিলেন ঠিক তেমনি এরাজ্যে বিভিন্ন জেলায় জেলায় প্রচার করেছিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। কলকাতায় মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবের সমর্থনে সমাবেশে বক্তব্য রেখেছিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী।

বৃহস্পতিবার মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মানিকতলা থানার অভিযোগ খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। খারিজ করলেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। রায় দিতে গিয়ে বিচারপতির মন্তব্য ভারতীয় রাজনীতিতে বিভিন্ন সিনেমা ও মনীষীদের ডায়লগ ব্যবহার করে থাকেন রাজনীতিবিদরা। বিগত বিধানসভা নির্বাচনে প্রচার এর সময় মিঠুন চক্রবর্তী বাংলা সিনেমার ডায়লগ ব্যবহার করেছেন।

১) মারবো এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে।

২) এক ছোবলেই ছবি।

দুটি ডায়লগ বাংলা সিনেমার অত্যন্ত পরিচিত ডায়লগ। বাংলার চলচ্চিত্রে দুটি সিনেমার ব্যবহৃত ডায়লগ কোন জনসভায় ব্যবহার করা অপরাধ বলে মনে করছে না আদালত। চলতি বছরে ৬ মে বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারের সময় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী বাংলা সিনেমার ডায়লগ দুটি ব্যবহার করেন। এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে এক ব্যক্তি মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের দাবি মিঠুন চক্রবর্তীর ডায়লগ বিশেষভাবে প্রভাব ফেলবে। ফলে শান্তিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হতে পারে। শুরু হয় পুলিশি তদন্ত। ভার্চুয়ালে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় মিঠুন চক্রবর্তীকে। এই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেতে মিঠুন চক্রবর্তী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। মামলার শুনানি পর্বে বিচারপতি কৌশিক চন্দ অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেন মিঠুন চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে পুলিশ কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না।
সমস্ত শুনানির পর বৃহস্পতিবার আদালতের রায় মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল তা খারিজ করে দেওয়া হল। যে দুটি ডায়ালগ তিনি প্রচারে ব্যবহার করেছিলেন সেই দুটি ডায়লগ জনসমক্ষে খুব পপুলার। ভারতীয় রাজনীতিতে এই ধরনের ঘটনা নিদর্শন রয়েছে। আদালত মনে করছেনা এমত অবস্থায় এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি রয়েছে। তাই এই অভিযোগের কোন পুলিশি তদন্তের আর প্রয়োজন নেই। তাই মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এফআইআর খারিজ করলেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ।