Date : 2024-04-25

কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, রাজ্য পুলিশেই আস্থা।অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের।সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি।শনিবার শুনানি

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার: জল্পনার অবসান।কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশ দিয়েই ১৪৪ আসনের নির্বাচন।কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়। রাজ্য পুলিশের নজরদারিতেই হবে পুর ভোট। অন্তর্বর্তী নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টেরপ্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবও বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেল ভারতীয় জনতা পার্টি। রাজ্যের শীর্ষ আদালত নির্দেশ নামায় শান্তিপূর্ণভাবে পুরভোট করানোর দায়িত্ব কমিশনের ঘাড়েই চাপিয়েছেন। কোনও অশান্তি হলে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হাই কোর্টে জবাবদিহি করতে হবে।

গত বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, রাজ্য পুলিশের নজরদারিতেই হবে কলকাতা পুরভোট। ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে ওইদিন বিকেলেই বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে বিজেপি। শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি জানান, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যের নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতির উপর আস্থা রেখেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর আরজি খারিজ করা হয়েছে। পুলিশই নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাতে পারবে বলেই মনে করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। তবে তার তীব্র বিরোধিতা করেন বিজেপির আইনজীবী। তিনি জানান, রাজ্য পুলিশ দিয়ে কিছুতেই অবাধ এবং শান্তিপূর্ণভাবে পুরভোট হতে পারে না। সে প্রসঙ্গে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং বিধানসভা ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন বিজেপির আইনজীবী। পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে জোর সওয়াল করেন তিনি।

এদিনের শুনানিতে রাজ্য, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী ছিলেন। তাঁদের উপস্থিতিতেই রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করেন। প্রধান বিচারপতি জানান, আপনারা যে সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তার দেখভাল কে করবে? কাউকে নিয়োগ করেছেন? রাজ্য নির্বাচন কমিশন উত্তরে জানায়, রাজ্য সরকারের সঙ্গে বারবার আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কাউকে এখনও নিয়োগ করা হয়নি। প্রধান বিচারপতি জানান, কেমন পরিকল্পনা করেছেন তার ব্লু প্রিন্ট দিন। সেই অনুযায়ী রাজ্য নির্বাচন কমিশন নিরাপত্তার নকশা জমা দেয়।আগামী ২৩শে ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।