Date : 2024-04-24

চাঁদে ঘনক আকৃতির জিনিস, তবে কি ভিনগ্রহীদের আস্তানা ?

মাম্পি রায়, নিউজ ডেস্কঃ চাঁদে কুঁড়েঘরের মতো একটি জিনিসের খোঁজ মিলল। চিনের ইউটু-২ রোভার জিনিসটির খোঁজ পেয়েছে। ঘনক আকৃতির বস্তুটিকে রহস্যজনক কুঁড়েঘর আখ্যা দিয়েছেন চিনা বৈজ্ঞানিকরা। চাঁদের বুকে প্রত্যন্ত জায়গা হিসেবে পরিচিত ভন কারমান ক্র্যাটরে এর খোঁজ পেয়েছে চিনা রোভারটি। সরাসরি চিনের ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা সিএনএসএ-র সঙ্গে যুক্ত স্পেস ডট কম। এর রিপোর্ট বলছে, চাঁদের ফার সাইডে অর্থাৎ চাঁদের যেই অর্ধটি সব সময় পৃথিবীর উল্টো দিকে থাকে, সেই অর্ধের ভন কারমান ক্রেটার জুড়ে গবেষণার কাজ করছে চিনের ইয়ুতু ২ রোভার। চিনা সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেখানে কাজ করার সময়, ওই রোভারের ক্যামেরায় রহস্যময় কুঁড়েঘরটি ধরা পড়েছে। নভেম্বরে চন্দ্রের উত্তর দিকে পাওয়া গিয়েছে এটি। 

কুঁড়েঘরের মতো জিনিসটি কী তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত এটি পাথরের টুকরোও হতে পারে। এমনও হতে পারে ধূমকেতুর মতো কোনও মহাজাগতিক বস্তুর অভিঘাতে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে উঠে এসেছে এটি। তবে যাই হোক। এই রোভার তা খুঁজে বের করবে। চিনা বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ঘনক আকৃতির বস্তুটি কী এটা খুঁজে বের করতে চাঁদের মাটিতে ২ থেকে ৩দিন লাগবে ইউটু-২ রোভারের। যা পৃথিবীর ২ থেকে ৩মাসের সমান। অর্থাৎ পৃথিবীর সময় অনুযায়ী , ২ থেকে তিন মাসের মধ্যেই ঘনক আকৃতির ওই জিনিসটি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য খুঁজে বের করতে সক্ষম হবে ইউটু-২।

২০১৯এর ৩ জানুয়ারি চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছিল সৌরশক্তি চালিত ইউটু-২ এবং চ্যাং ই-৪ ল্যান্ডারটি। ভন কারম্যান চন্দ্র গহ্বরের তদন্ত চালাচ্ছে রোভারটি। ইতিমধ্যে চাঁদের মাটিতে ১৮৬ কিলোমিটার জুড়ে কাজ করে ফেলেছে এটি। চ্যাং ই- ৪ চিনের চতুর্থ চন্দ্র অভিযান। সেই অভিযানে চিন দ্বিতীয়বারের মতো রোভার পাঠিয়েছিল। তার আগের দুটি চন্দ্র অভিযানে, চাঁদে ল্যান্ডার ও রোভার ছাড়া শুধু অরবাইটর পাঠানো হয়েছিল। অর্থাৎ অবতরণ নয়, শুধুমাত্র চাঁদের কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করার জন্য ছিল সেই মহাকাশযানগুলি। 

সবমিলিয়ে আগামী দিনে চাঁদের ফার সাইডে থাকা ওই রহস্যময় কুঁড়েঘরের রহস্যের সমাধান হবে বলেই আশা করছে মনে করছে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের একাংশ।