Date : 2024-04-19

বেআইনিভাবে জলাভূমি ভরাট করলে তা ফের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা হাইকোর্টের আছে প্রধান বিচারপতি

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার: জলার মধ্যে বেআইনি নির্মাণ হলেও তা ভেঙে দিতে পারে হাইকোর্ট। মুর্শিদাবাদের দুটি বেআইনি জলাভূমি ভরাট মামলায় এই পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের। বহরমপুরের একটি প্রায় এক বিঘার একটি জলা ভরাট নিয়ে প্রথমে মামলা হয়। মামলাটির শুনানিতে রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ভরাটের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাই তা বেআইনি নয়। এর পরিবর্তে বিকল্প জলা তৈরি করে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। যদিও বহরমপুর পৌরসভার তরফে আইনজীবী অরিন্দম দাস আদালতে বলেন, বেআইনি ভরাটের অভিযোগে ভূমি সংস্কার আইনের ধারা মেনে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। যেহেতু ওই জমি এখনও রেকর্ডে জলা হিসেবে চিহ্নিত তাই পুরসভাও বেআইনি ভরাট অভিযোগ পেয়ে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। যদিও মামলাকারীদের আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী বলেন, বর্ধমান এ একটি জলা ভরাট করে তার বিকল্প জ্বলা যদি কলকাতায় খোঁড়া হয় সেটা কি আইনসম্মত এই প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি সরকারি কৌঁসুলি। আদালত সব পক্ষকে হলফনামা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাতে বলেছে। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের একই ধরনের একটি জলা বোঝানোর মামলাতেও হলফনামা চেয়েছে হাইকোর্ট।


বেআইনি জলা ভরাটের বিরুদ্ধে এদিন হাইকোর্টের কঠোর মনোভাবে আশার আলো দেখছেন জলাভূমি বাঁচানোয় এগিয়ে আসা নাগরিকরা। তাদের মতে, শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, গোটা রাজ্যে বেআইনিভাবে জলাভূমি ভরাট করা হচ্ছে। তাতে প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মদত দিচ্ছেন কিছু সরকারি আধিকারিক। এই আবহে আদালত কঠোর অবস্থান নিলে জলা ভরাটের বিরুদ্ধে আন্দোলন গোটা রাজ্যেই জোরদার করা সম্ভব।