Date : 2024-04-19

ভারতে বেআইনি অনুপ্রবেশের পরিকল্পনা করেছে জঙ্গিরা

রিমা দত্ত, নিউজ ডেস্ক : চলতি বছরে মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান নিয়ে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থা গুলি যে আশঙ্কা করেছিল, সেই আশঙ্কায় বাস্তবায়িত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জানা যায়, ভারত-মায়ানমার সীমান্তে হঠাৎ করেই অনেক জঙ্গিদের দেখা মিলেছে। একই সঙ্গে সীমান্তে জঙ্গিদের বিভিন্ন ক্যাম্প তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ২০১৯ সালে ভারত ও মায়ানমারের বাহিনীর যৌথ অভিযানের ফলে তৎপরতার সঙ্গে এই জঙ্গি ক্যাম্প গুলি ফাঁকা করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। মায়ানমারের সেনাদেরও অধীনে ছিল সেই ক্যাম্পগুলি। সেখানেই হঠাৎ করে বিগত কয়েক মাসে সক্রিয়তা চোখে পড়েছে। জঙ্গি সংগঠন পিএলও ও আরপিএফ হঠাৎ করেই মায়ানমারে তাদের সক্রিয়তা বাড়িয়েছে। সেনাম থেকে সীমান্ত সংলগ্ন শিয়ালমি পর্যন্ত ১৮ থেকে ২০ জন জঙ্গির উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে সেখানে।

তবে হঠাৎ করেই সেখানে বিগত কয়েক মাস ধরে সক্রিয়তা নজরে এসেছে। সেনাম থেকে সীমান্ত সংলগ্ন শিয়ালমি পর্যন্ত ১৮ থেকে ২০ জন জঙ্গির উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, UNLF, PLA এবং PREPAK-এর ১৫০ জন সন্ত্রাসীকে চিন প্রদেশের গ্রামে আনা হয়েছে, যাতে তাঁরা সহজেই ভারতে অনুপ্রবেশ করতে পারে। একইভাবে, বেশ কিছু NSCN(KYA) সন্ত্রাসবাদী তিরাপ এবং চাংলাং জেলায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে যাঁরা সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে, মায়ানমার সেনাবাহিনীর ও ভারতীয় সেনা যৌথভাবে, মায়ানমারে ঘাঁটি স্থাপনকারী সন্ত্রাসী দলগুলোর বিরুদ্ধে বড় ধরনের ব্যবস্থা নেয়। কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা এই অভিযানে বিপুল সংখ্যক সন্ত্রাসী শিবির ধ্বংস করা হয়েছিল এবং সন্ত্রাসীদের হত্যা করা হয়।

ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থা গুলির কাছে আসা খবর অনুযায়ী, এই জঙ্গিরাই, গত মাসে মণিপুর সীমান্তে ৪৬ তম অসম রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল বিপ্লব ত্রিপাঠি, তাঁর স্ত্রী এবং ছেলে এবং আরও ৪ জন সেনাকে হত্যার পিছনে জড়িত ছিল। এই ঘটনার পর সকল সন্ত্রাসীরাই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মায়ানমারে প্রবেশ করে এবং সিয়ালমির জঙ্গলে তারা এখনও লুকিয়ে রয়েছে তারা।