Date : 2024-04-20

ভয়াবহ পরিস্থিতি ফ্রান্সে

পৌষালী সেনগুপ্ত, নিউজ ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন যেন নয়া ত্রাসের নাম। যা রোখা যাচ্ছে না করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দিয়েও। আমেরিকা, ব্রিটেনের পর ফের মারাত্মক পরিস্থিতি ফ্রান্সে। ফ্রান্সে একদিনে মারণ ভাইরাসের কবলে পড়েছেন ১ লক্ষ ৪ হাজার ৬১১ জন। এই প্রথমবার ফ্রান্সে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাটা ১ লক্ষের গণ্ডি পেরল।ফ্রান্সের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি বলছে, করোনার প্রথম ধাক্কার সময়ও পরিস্থিতি এতটা বিপজ্জনক ছিল না। ঘটনাচক্রে ফ্রান্সের মোট জনসংখ্যার ৭৬.৫ শতাংশ পুরোপুরি ভ্যাকসিনেটেড। অর্থাৎ টিকার দুটি ডোজই পেয়েছে। তা সত্ত্বেও নতুন করে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। বাধ্য হয়ে ফ্রান্স সরকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানানো হয়েছে, বুস্টার ডোজ নিলে বিশেষ হেলথ পাস দেওয়া হবে নাগরিকদের। সেই হেলথ পাস ছাড়া তারা বাড়ির বাইরে বেরতে পারবেন না।

ফ্রান্সের অনেক প্রান্তেই এখন লকডাউনের মতো বিধিনিষেধ চালু হয়েছে।ফ্রান্সে নতুন করে করোনার এই দাপটের নেপথ্যে ওমিক্রনের আগমনকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু ফ্রান্স নয়, বিশ্বের ১০৮টি দেশে এই মুহূর্তে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ওমিক্রন। একমাস আগেই দক্ষিণ আফ্রিকায় খোঁজ মিলেছিল করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের। তার পর এই ওমিক্রন বাস্তবের মাটিতে ‘ভাইরাল’ হতে বেশি সময় নেয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, মাত্র একমাসেই ১০৮টি দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন দেড় লক্ষের বেশি মানুষ। এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২৬ জন।একাধিক দেশ ফের আন্তর্জাতিক ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ফের স্তব্ধ হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছে গোটা বিশ্ব। দেখা গিয়েছে, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়ামে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আমেরিকা এবং ইংল্যান্ডের পরিস্থিতি বিপজ্জনক। ইংল্যান্ডে শুক্রবারই রেকর্ড গড়েছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। জানা গিয়েছে, একদিনে সে দেশে আক্রান্ত হয়েছে ১ লক্ষ ২২ হাজার ১৮৬ জন। স্বাভাবিক ভাবেই সংক্রমণের এই হার চিন্তায় ফেলেছে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে।