Date : 2024-03-29

কাশী বিশ্বনাথ করিডর প্রজেক্টের মেগা উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

ওয়েব ডেস্ক : প্রায় সাড়ে 300কোটি টাকার কাশী-বিশ্বনাথ করিডর প্রজেক্ট। এ যেন উত্তরপ্রদেশে মহাভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর পুজোর ডালি।সোমবার ললিতাঘাটে ডুব দিয়ে গঙ্গাস্নান করে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দেন প্রধানমন্ত্রী তারপর চলে মেগা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।

বিধানসভা নির্বাচনের আগে সরগরম উত্তরপ্রদেশ। প্রায় সাড়ে তিনশো কোটি টাকার কাশী বিশ্বনাথ করিডরের উদ্বোধন করে তাক লাগালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মন্দির সংলগ্ন আরও 23টি ভবনের উদ্বোধনও করা হয়। সোমবার উদ্বোধনের আগে ষোড়শোপচারে পুজো করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে সঙ্গে নিয়ে গঙ্গাভ্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর ললিতাঘাটে ডুব দিয়ে গঙ্গাস্নানের পাশাপাশি সূর্যদেবতাকে প্রণাম। এরপর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দেন প্রধানমন্ত্রী। শিবলিঙ্গে দুধ, ঘি, গঙ্গাজল ঢেলে আরাধনা করেন পাশাপাশি চলে আরতি ও মন্ত্রোচ্চারণ। তারপরই করিডর উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। মন্দির নির্মাণকারী শ্রমিকদের ধন্যবাদ জানাতে তাঁদের উপরে ফুলের পাপড়ি বর্ষণ করেন তিনি।করিডর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, কাশী বিশ্বনাথ ধাম হোক বা রাম মন্দির, ভারতের সংস্কৃতিতে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যোগী আদিত্যনাথ আরও বলেন, ১০০ বছর আগে বারাণসীতে  নোংরা, ঘিঞ্জির মধ্যে মানুষকে থাকতে দেখে দুঃখ পেয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী। সেই দুঃখ দূর করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, কাশী বিশ্বনাথ কমপ্লেক্স আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং উন্নতির প্রতিফলন কাশীর উত্থানপতনের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঔরঙ্গজেবের অত্যাচারের সাক্ষী রয়েছে ইতিহাস। উগ্র মনোভাব দিয়ে কাশীর সংস্কৃতি নষ্ট করতে চেয়েছিলেন ঔরঙ্গজেব। কিন্তু সেক্ষেত্রে সবসময় রুখে দাঁড়িয়েছেন শিবাজি।

এই করিডরের মাধ্যমে প্রবীণরা সহজেই মন্দিরে আসতে পারবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, অনেকেই এই প্রকল্পের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তবে ইচ্ছে থাকলে সবকিছুই সম্ভব হয়। তিনি জানান, আজ সারা বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে ভারত। তবে ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর লোকসভা কেন্দ্রে এই মেগা উদ্বোধন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।