Date : 2024-04-25

দিল্লি দূষণে উত্তরপ্রদেশ নয় বরং পাকিস্তান দায়ী, সুপ্রিমকোর্টে দাবি যোগী সরকারের আইনজীবীর

মাম্পি রায় , নিউজ ডেস্কঃ পাকিস্তানের দূষিত বায়ুর জেরেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দিল্লি। সুপ্রিমকোর্টে দাবি করল উত্তরপ্রদেশ সরকার। যোগী প্রশাসনের আইনজীবী এমনই যুক্তি দেন। তার জবাবে প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা কার্যত ব্যাঙ্গ করে বলেন, আপনি কি পাকিস্তানের কলকারখানা বন্ধ করার কথা বলছেন ?” দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলের বায়ুদূষণ নিয়ে একটি মামলার শুনানিতে ওই আইনজীবী দিল্লির দূষণের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেন।

 এদিন কেন্দ্র সুপ্রিমকোর্টকে জানায়, দিল্লির ১২৪টি এন্ট্রি পয়েন্টে তদন্তকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশকর্মীরাও রয়েছেন সেই দলে। সিএনজি এবং জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ট্রাক ছাড়া যাতে অন্য কোনও ট্রাক দিল্লিতে প্রবেশ করতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে। সুপ্রিমকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণকে বাস্তবায়িত করতে ৫ সদস্যের এনফোর্সমেন্ট টাস্ক ফোর্সও গঠন করেছে কেন্দ্র।

প্রবল কড়াকড়ির পরও দীপাবলির পর মারাত্মক আকার নিয়েছে দিল্লির বায়ুদূষণ। ধোঁয়াশার মোটা চাদরে মুড়েছে রাজপথ। শস্যের গোড়া পোড়ানোর ধোঁয়ার জেরেই বায়ু  দূষণ বাড়ছে বলে দাবি করা হয় সরকারের তরফে। এই পরিস্থিতিতে ১৩ নভেম্বর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত স্কুল-কলেজ। সোমবার স্কুলগুলি খুললেও শুক্রবার ফের বন্ধ করে দেওয়া হয় রাজধানীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি।

এমনই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের আইনজীবী রঞ্জিৎ কুমার দাবি করেন, রাজধানীর দূষণ সংক্রান্ত বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের কোনও ভূমিকা নেই। তাঁদের রাজ্যে সমস্ত শিল্পের ক্ষেত্রেই দূষণ নিয়ন্ত্রণ করেছে। সুতরাং উত্তরপ্রদেশ থেকে দূষিত বায়ু দিল্লিতে প্রবেশ করতেই পারে না। বরং পাকিস্তান থেকে দূষিত বায়ু প্রবেশ করছে দিল্লিতে। তার জেরেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে দিল্লিবাসীদের। উত্তরপ্রদেশের আইনজীবীর আরও দাবি, দূষণ ঠেকানোর উদ্দেশ্যে যদি পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলির শিল্পক্ষেত্রের উপর বিধিনিষেধ জারি করা হয় তবে উত্তরপ্রদেশের দুধ প্রক্রিয়াকণ এবং চিনিশিল্পের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

কেন্দ্র এবং এনসিআরের রাজ্যগুলিকে এদিন সুপ্রিমকোর্ট নির্দেশ দেয়, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে যে প্যানেল তৈরি হয়েছে, তার নির্দেশ মেনে কাজ করতে হবে। এছাড়া রাজধানী দিল্লি এবং লাগোয়া রাজ্যগুলিতে বায়ু দূষণের উন্নতিতে কমিশন কী কী পদক্ষেপ করেছে, সেসবও শোনে প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।