Date : 2024-04-24

পুরভোট সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ,সোমবার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার : প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ডিভিশন বেঞ্চে শুক্রবার শুনানিতে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষের আইনজীবী পিঙ্কি আনন্দ জানান
রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন করেছে।
১ ডিসেম্বর আদালত নির্দিষ্ট নির্দেশ দিলেও, ১১১ পুরসভার ভোটের নির্ঘন্ট, দফা জানায়নি।
শুধু ৬-৮ দফায় ভোট হবে মে মাসের মধ্যে এটুকুই জানিয়েছে।
সব পুরভোট শেষে ভোটগণণার সম্ভাব্য পথের বাস্তবতা খতিয়ে দেখার নির্দেশ থাকলেও তা জানায়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
একসঙ্গে পুরভোট করার বাস্তবতা জানানোর নির্দেশ থাকলেও কমিমন তা অগ্রাহ্য করেছে।

পুরভোট ভিভিপ্যাট(ভোটার ভেরিফিবেল পেপার অডিটট্রায়াল) ছাড়াই করছে কমিশন।
M 2 ইভিএমে ভিভিপ্যাট জোড়ার ব্যবস্থা থাকার পরেও।
সুপ্রিম কোর্টের সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে ভিভিপ্যাট সঙ্গে ভোট করার, তারপরেও ভিভিপ্যাট ব্যবহার করছে না কমিশন।
প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব প্রশ্ন কমিশনে উদ্দেশ্যে, ভিভিপ্যাট ইস্যু ছাড়াও নির্ঘন্টের বিষয়টি কোন অবস্থায়,
কমিশন কেন ১১১ পুরভোটের দিনক্ষণ জানালো না?
কমিশন আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র উত্তর, কোনও পুরসভা বা পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভিভিপ্যাট ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি জনস্বার্থ মামলাকারীর ভিভিপ্যাট ছাড়া ভোট না করানোর আবেদন দেখে।
কমিশন জানিয়েছে, পরীক্ষা, কোভিড পরিস্থিতি কথা মাথায় রেখে ৬ থেকে ৮ দফায় ভোট হবে ১১১ পুরসভার।
মে মাসের মধ্যে সমস্ত ভোট সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
M 3 ইভিএমে ভিভিপ্যাট থাকে। তা কমিশনের কাছে নেই।প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্ত
কমিশনের আইনজীবী উদ্দেশ্য প্রশ্ন করেন
কোলকাতা পুরভোট করার পরও কমিশনের কাছে বাড়তি ইভিএম রয়েছে। তাহলে সেই ইভিএম দিয়ে বাকি পুরসভার ভোট নয় কেন?
হাতে থাকা ৮৪৭৭ ইভিএম দিয়ে অন্য পুরসভার ভোটের দিনক্ষণ কেন ঘোষনা করা হলোনা?
ফের প্রধান বিচারপতি র প্রশ্ন কমিশন কোনও হিসেব কি করেছে ১১১ পুরসভার ভোট করতে কত ইভিএম লাগবে?
রাজ্য নির্বাচন কমিশন এদিন আদালতে জানান আবেদনকারীদের ভিভিপ্যাট ব্যাবহার নিয়ে লোকসভা,বিধানসভা নির্বাচন হয় এম ৩ ।কারণ এম ৩ তে ভিভি প্যাড আছে।এম1এবং এম ২ ইভিএমের সাথে ভিভিপ্যাড থাকে না।রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভিভিপ্যাড ব্যবহার রে আধিকারি নয়।
সম্প্রতি ত্রিপুরা পুরসভা, বিহারের পঞ্চায়েত নির্বাচন ভিভিপ্যাড ছাড়াই হয়েছে।এছাড়াও মধ্যপ্রদেশ,রাজস্থান,গুজরাট,উড়িষ্যা, দিল্লি এবং ছত্রিশ গড়, হরিয়ানা,ঝাড়খন্ড, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, মিজোরাম, এবং তামিলনাড়ু, আঞ্চলিক নির্বাচনগুলিতেও সংশ্লিষ্ট রাজ্যের নির্বাচন কমিশনও ভিভিপ্যাড ব্যবসার করেনি।

রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায়বলেন রাজ্যের তরফ আদালতে জানিয়ে দিয়েছিলেন ৬-৮দফায় নির্বাচন করতে।
আগামী মার্চ মাসে রাজ্যে পরীক্ষা আছে।
কলকাতা প্রথম কারণ এখানে প্রচুর মানুষ কে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
এখানে যথেষ্ট চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে।
এটা রাজ্যের কাছে একটা পরীক্ষা।কারণ এখানে১০০%মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন, চিকিৎসা পরিসেবা উন্নত, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত।
পরবর্তী পুরসভা নির্বাচনের জন্য এগোনো যাবে কিনা তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
রাজ্য সরকার নির্বাচনের বিরুদ্ধে নয়।
কলকাতা পুরসভা নির্বাচন আগে করার একটা কারণ।
দ্বিতীয় EVM নিয়ে কমিশন আগেই বলেছেন আমিও বলছি EVM 1 EVM 2 দিয়ে ভালো ভাবেই নির্বাচন করা যায়।
মামলাকারি একটি বিশেষ ৰাজনৈতিক দলের সদস্য।তিনি সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।সেখানে তাঁরা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চেয়ে আবেদন করেছেন।
এটা কিসের জনস্বার্থ?
রাজ্য সরকার চাইছে বিভিন্ন দফায় হোক কিন্ত গণনা একই দিনে হোক।
নবম শ্রেণীকলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় করোনা বিধি মেনে ক্লাস হচ্ছে।
যে সমস্ত হোস্টেল খোলা হয়েছে সেগুলোতে করোনা বিধি মেনে ছাত্রছাত্রীদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতার পুর নির্বাচনের প্রচারের ক্ষেত্রে বেশকিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।