Date : 2024-04-20

তিলোত্তমায় সংক্রমণের রাশ টানতে পুরসভায় খোলা হল হেল্ফ লাইন নম্বর

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায় রিপোর্টার: দিন বেড়েই চলেছে মহানগরীতে করোনা রোগীর সংখ্যা। যেকারণেঅনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা পেতে সমস্যা হচ্ছে নাগরিকদের।ইতিমধ্যে বেশ কিছু অভিযোগও উঠছে।এবার সমস্যা মেটাতে কন্ট্রোল রুম খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম । করোনা আক্রান্তদের জন্য নতুন হেল্পলাইন নম্বর শুরু করলো কলকাতা পুরসভা।শহরবাসী এই নম্বরে ০৩৩ ২২৮৬১২৩৮ ফোন করে করোনা রোগীরা নিজেদের যাবতীয় সমস্যার কথা জানাতে পারবেন।পাশাপাশি চালু করা হচ্ছে টেলিকলিং পরিষেবাও।
শুক্রবার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, চিকিৎসা সংক্রান্ত যে কোনও রকমের সাহায্য পাওয়া যাবে এই নম্বরে ফোন করলে। এসএমএস-এর মাধ্যমেও সমস্ত তথ্য তুলে ধরা হবে। মোট ১০০ জন কর্মী তিন শিফটে কাজ করবেন কন্ট্রোল রুমে। হাসপাতালে ভরতি থেকে অ্যাম্বুল্যান্স, অক্সিজেন সরবরাহ ইত্যাদি সমস্ত পরিষেবা মিলবে এই কন্ট্রোল রুম থেকেই। সরাসরি কথা বলা যাবে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গেও। পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর সুব্রত রায়চৌধুরীর নম্বর যুক্ত থাকবে এই কন্ট্রোল রুমে। থাকবে ডেপুটি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নম্বরও।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে করোনা রোধে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনে জোর দিতে অনুরোধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তার পরদিনই কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা একলাফে বেড়ে হল ৪৪। আসলে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শহরজুড়েই বাড়ছে সংক্রমণ। বিশেষ করে অভিজাত এলাকা এবং বহুতল আবাসনগুলিতে করোনা সংক্রমণ রীতিমতো উদ্বেগের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। সেই সঙ্গে করোনা রোগীদের যাতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে কন্ট্রোলরুম খুলছে পুরসভা ।
দিনকয়েক আগেও মোট ২৯টি এলাকা মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিতকরা হয়েছিল ছিল। ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, অভিজাত এলাকাগুলিতে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সেই কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যাটা বাড়াতে হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে বহুতল এবং সম্পন্ন পরিবারের সদস্যরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। পুরসভা সূত্রের খবর, ১২ নম্বর বরোতেই মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ১২,১০ নম্বর বরোতেও ১০টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করতে হয়েছে। শুধু লেক এলাকাতেই ৭টা কন্টেনমেন্ট জোন করা হয়েছে।প্রতিটি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের যাতে কোন সমস্যা না হয় সেকারণে স্থানীয় পৌর প্রতিনিধিদের বাড়তি নজর রাখতে বলা হয়েছে।