Date : 2024-04-20

ফের পোস্টার বিতর্ক! হুগলির পর এবার কলকাতা হাইকোর্ট।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার: বিতর্কের অবসান যেন হয়েও হচ্ছে না! সাংসদ তথা কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে পোস্টার বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না।হুগলির পর কলকাতা হাইকোর্ট। কয়েকদিন পোস্টারে দাবি করা হয়েছে, শ্রীরামপুরের জন্য নতুন সাংসদ। কোথাও আবার ‘দিদি’ তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিচার প্রার্থনা করা হয়েছে। কে দিল পোস্টার? ডায়মন্ডহারবার মডেল’ নিয়ে চলতি বিতর্কে খানিকটা ইতি টেনে দিয়েছিলো তৃণমূল কংগ্রেস । গতকয়েকদিন এনিয়ে বিবৃতির লড়াইয়ের পর শুক্রবার দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইট করেন, “চ্যাপ্টার ক্লোজড।” দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়বলেছিলেন, “এবিষয়ে যে বা যারা বিবৃতি দিচ্ছেন, সকলকেই বলা হচ্ছে তা না করতে। কিছু বলার থাকলে দলে বলুন। দল বা সরকারের ভাবমূর্তির ক্ষতি হয়, এমন কোনও কাজ করা যাবে না।”
ডায়মন্ড হারবার মডেল নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্য-রাজনীতি। সরাসরি আক্রমণ না করা হলেও কল্যাণের সঙ্গে টুইটে যুদ্ধ চলছিল তৃণমূল নেতাদের। যদিও দলনেত্রীর নির্দেশে সংযমের পথে হেঁটেছেন দলের নেতারা। সোমবার হুগলির বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক পোস্টার।তাঁর পরই কলকাতা হাইকোর্টের তৃণমুল আইনজীবী সেলের আইনজীবী রা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন সাংসদের বিরুদ্ধে।প্ল্যাকার্ড লেখা হাই কোর্টে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাদাগিরি মানছি না মানবো না।সাধারণ আইনজীবীদেরসাথে দুর্ব্যবহার মানছি না মানবো না আবারকল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় স্বজন পোষণ মানছি না মানবো না হটাৎ হাই কোর্টের বি গেটে এই দৃশ্য দেখে হতচকিত হয়ে যান হাই কোর্টের পুলিশ, সাধারণ মামলাকাররাও।
হুগলি তে কয়েকদিন আগেকোনও পোস্টারে লেখা, “দিদি তুমি বিচার কর, দাদা তুমি বিচার কর। মানুষ চায় বিচার হোক, এই পাপের মুক্তি দাও।” আবার কোনও পোস্টারে লেখা রয়েছে, “আর নয় কল্যাণ, অ-কল্যাণের মুক্তি চাই। সুস্থ শহর, পরিচ্ছন্ন মানুষ চাই। নেশাখোর- তোলাবাজ- চরিত্রহীন আর নয়, আর নয়।”এই ধরণের পোস্টের ছয়লাপ হয়ে গিয়েছিলো।ফের বিতর্ক আর একবার উস্কে দিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতাহাই কোর্টের কয়েকশো আইনজীবী তাঁরা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।বেশ কয়েকজন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন।