Date : 2024-04-19

আদালতের কাছে SSC র “ভুল” স্বীকারোক্তি। মাধ্যমিকে ইতিহাসে বাড়ছে ১নম্বর।চাকুরিতে আশাবাদী পরীক্ষার্থীরা

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার:- রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশনের যে সিদ্ধান্ত ভুল ছিল দীর্ঘ টালবাহানার পর শুক্রবার আদালতে স্বীকার করলেন তাদেরই ভুল হয়েছিল। অবিলম্বে পরীক্ষার্থীদের এক নম্বর সংযুক্ত করার নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার পাশাপাশি তাঁরা যাতে প্রাপ্ত নম্বর পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হন তা নিশ্চিত করবেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান।

২০১৬সালের এস এল(SL)এসটি পরীক্ষার ভিত্তিতে উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের ইতিহাসের শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে এস এল, এস টি পরীক্ষা হয়েছিল ২৭ শে নভেম্বর ২০১৬ সালে এবং পরীক্ষার ফলাফল বেরোয় ডিসেম্বর ২০১৬সালে।
ইতিহাস বিষয়ে মডেল উত্তর প্রকাশিত হয়, যেখানে প্রশ্ন উত্তর সঠিক দেওয়া ছিল।কিন্তু পরবর্তীকালে SSC একটি রিভাইজ উত্তর পত্র তৈরি করেন।সেখানে ওই প্রশ্নের উত্তরটি ভুল করে কিন্তু এটি তাঁরা কোথাও প্রকাশিত করেনি।তাই মামলাকারীরা জানতে পারেনি তাঁরা সঠিক উত্তর দিয়েও পাননি প্রাপ্ত নম্বর।২৪শে মার্চ২০২১সালে মামলাকারীরা জানতে পারেন তাঁরা সঠিক উত্তর দিয়েও এক নম্বর পাননি শুধুমাত্র স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষক মন্ডলীর ভুল উত্তরপত্র তৈরি করার জন্য।
চলতি বছরে মামলাকারীর পক্ষ থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।তাঁদের দাবি যদি এক নম্বর দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন তাহলে তারা মেধাতালিকা য় নথিভূক্ত হলে নিয়োগপত্র তারা পেতে পারেন। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশন তাদের আবেদন গ্রাহ্য করেনি বলে অভিযোগ করে কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন।
শুক্রবার বিচারপতি অমৃতার এজলাসে মামলার শুনানি চলাকালীন অনামিকা ঘোষ এবং সৈকত ভট্টাচার্যের পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা সঠিক উত্তর দিয়েছেন সপক্ষে একাধিক বই আদালতের কাছে তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি আশীষ বাবু এসএসসি তাঁদের রিভাইজ উত্তরপত্রে উত্তরটি ভুল করেন,যার খেসারত দিতে হয়েছে মামলাকারীদের।
এসএসসির পক্ষের আইনজীবী সুতনু পাত্র আদালতে জানান এসএসসি উত্তরপত্রে ভুল ছিল। তবে সেটা অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে। মামলাকারীরা যদি সঠিক উত্তর দিয়ে থাকেন তাহলে তারা তাদের প্রাপ্ত নম্বর পাবেন।
বিচারপতি অমৃতা সিনহা স্কুল সার্ভিস কমিশনের সেক্রেটারি কে নির্দেশ দেন উত্তর পত্র যাচাই করে মামলাকারীদের জানাতে হবে এবং যদি মামলাকারীদের এক নম্বর বাড়ে তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।