Date : 2024-04-24

গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় চাপ বাড়ছে হাইকোর্টের নিযুক্ত কমিটির অপর!মিথ্যা প্রমাণিত হলে ফেরত দিতে হবে বেতনের সব টাকা

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার:-গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি হল তিন সপ্তাহ পর্যন্ত। কিন্তু যাদের যাদের অবৈধভাবে নিয়োগ হয়েছে তা যদি প্রমাণিত হয় তাহলে চাকরির প্রথমদিন থেকে আদালতের নির্দেশ পর্যন্ত যে বেতন তারা পেয়েছেন তা সম্পূর্ণ ফেরত দিয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি ২০১৯ সালের নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে তুলে দিতে হবে আদালতের কাছে। আদালতের নির্দেশের আগে এবং পরে কমিশন নির্দেশ পালন করেছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হবে মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী দুই সপ্তাহ পর।

বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে বৃহস্পতিবার উঠে আসে এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এমন একটি গোপনীয় নথিতে কে স্বাক্ষর করতে পারে!! ডিজিটাল স্বাক্ষর! তার পাসওয়ার্ড থাকে। আমরা জানি কি ভাবে স্বাক্ষর করতে হয়। এটা খুব গোপনীয়। আপনি বলছেন এটা করেন নি!!
হলফনামা যাই দিন, তথ্য মিথ্যা হয়ে যাবে না! এমন অপব্যবহার হয় কি করে!!
আমাদের এখনও সন্দেহ আছে কমিশন আইন মত কাজ করছে কিনা!

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষের আইনজীবী বলেন আমরা নিয়োগ দেওয়ার আগে কমিশনের কাছে জানতে চাই। তাদের থেকে ‘ওকে’ আসার পরেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে

এটা কি গভীর ষড়যন্ত্র বলা যায় না! আদালত
সরকারী দুটি সংস্থা একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলছে। দোষ এড়ানোর চেষ্টা করছে: আদালত।
আদালতের পর্যবেক্ষণ ssc নিজের দ্বায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না।তাঁদের অনুমোদন ছাড়া নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্ভব নয়। নিয়োগের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর কিভাবে নিয়োগ হলো তা এসএসসি কাছেই যখন স্পষ্ট নয় তখন আদালত মনে করতে পারে এটা বড়সড় ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে।

দু দিনের মধ্যে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করতে হবে চূড়ান্ত তালিকা কাদের কাদের নিয়োগ করেছে এসএসসি।
আইনজীবী সুবীর সান্যাল আদালতে জানিয়েছেন নিয়েগের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরের এত নিয়োগ কিভাবে সম্ভব।সঠিক ভাবে এর তদন্ত করলেই আসল ঘটনা জনসমক্ষে আসবে।
সমস্ত মামলাকারি তাঁরা কমিটির সদস্য দের কাছে এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য তাঁরা জমা দেবেন।