Date : 2024-04-26

গ্রূপ সি পদে ৩৫৭জন চাকুরিজীর ভবিষ্যৎ কি?চূড়ান্ত নির্ধারণ ১৫ই ফেব্রুয়ারি।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার:- রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দড়ি টানাটানিতে গ্রূপ ডি চাকুরী গেল ৫৭৩ জনের। ভবিষ্যৎ কি? গ্রূপ সি পদে চাকুরীরত দের? এখানেও অভিযোগ নিয়োগে বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে। মামলার শুনানি আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে।
গ্রূপ সি পদে নিয়োগপ্রাপ্ত অরিন্দম মিত্র জানায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ হলফনামায় আদালতে জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের রেকমেন্ডেশনের ভিত্তিতে তাঁরা চাকুরি পেয়েছেন।কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে আদালতে জানিয়েছেন তাঁরা কোন রেকমেন্ডেশন দেয়নি।তাহলে রেকমেন্ডেশন কে দিলো?
প্রসঙ্গত,২০১৬ সালে গ্রুপ সি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।অনেকেই চাকুরী পেয়ে যাওয়ার পরও বেশকিছু শূন্যপদ থাকায় ।যাঁরা যাঁরা ওয়েটিং লিস্টে ছিলেন তাঁদের ২০১৯সালের ২০ই ডিসেম্বর রেকমেন্ডেশন লেটার ইস্যু করেন এসএসসি। তারই ভিত্তিতে ২০২০ সালে রাজ্যের মধ্য শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে ৩৫৭জন কে নিয়োগ পত্র পাঠায়।তাঁদের মধ্যে একজন আবেদনকারী অরিন্দম মিত্র।যাঁকে পূর্ব মেদিনীপুরের শ্রীরামপুর এগ্রিকালচার হাইস্কুলে চাকরির নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছিল। অরিন্দম বাবু নিয়োগ পত্র পেয়ে স্কুলে যোগাযোগ করলে তাঁকে স্কুল কতৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয় স্কুল বন্ধ রয়েছে,খোলার পরে যোগাযোগ করবেন।
এর পর বারংবার স্কুলের সাথে,জেলা স্কুল পরিদর্শক, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং পর্ষদের কাছে লিখিত আবেদন জানানোর পরেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ।
অরিন্দম বাবুর আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানান গ্রুপ সি পদে যে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে মামলা চলছে তাতে মামলাতে আবেদনকারী অরিন্দম মিত্রকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।রেকমেন্ডেশন লেটার স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকেই পেয়েছেন অরিন্দম বাবু।মধ্যশিক্ষা পর্ষদ হলফনামায় জানিয়েছেন যে SSC রেকমেন্ডেশন ভিত্তিতে তাঁরা নিয়োগপত্র দিয়েছেন।সেক্ষেত্রে চাকুরী প্রার্থীদের অপরাধ কোথায়?পাশাপাশি অরিন্দম মিত্র বারবার ssc এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কে জানিয়েছেন।কিন্ত আজও কেউ এই নিয়োগ অবৈধ তা লিখিত ভাবে জানায় নি।তাহলে তাঁর নিয়োগ যে বৈধ তাই প্রমান হয়।যা আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারিতে আদালতে তুলে ধরা হবে।

অন্য দিকে মামলাকারীর সাবিনা ইয়াসমিন পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে নিয়োগের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পর অরিন্দম মিত্রকে নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছে।বেতন পাচ্ছেন এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানান অরিন্দম বাবুর আইনজীবী।
আইনজীবী মহলের একাংশ মনে করছেন যাঁরা যাঁরা চাকুরীরত তাঁরা আদালতে উপস্থিত হয়ে তাঁদের নিয়োগ যে বৈধ সেই বক্তব্য না জানালে ভবিষ্যতে তাঁদের গ্রূপ ডি র মতোই চাকুরী হারানোর সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।