Date : 2024-04-25

মৃত্যুর শংসাপত্র বিলি নিয়ে জট কাটলো কলকাতা হাইকোর্টে

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার:- কোন ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাঁর শংসাপত্র কিভাবে কোথা থেকে পাবেন তা নিয়ে বহু মানুষ বুঝে উঠতে পারেন না।যে তাঁর প্রিয়জনের মৃত্যুর শংসাপত্র কোথা থেকে পাবেন অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে যেখানে তিনি মারা গিয়েছিলেন নাকি যে পুরসভা বা পঞ্চায়েত এলাকায় থাকেন সেখান থেকেই।বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত একটি মামলায় হাইকোর্ট সমাধানের পথ দেখালেন। যাঁরা তাঁর প্রিয়জনের মৃত্যুর শংসাপত্র কোথা থেকে তুলবেন ভেবে পাচ্ছেন না, তাঁদের জন্য অবশ্যই সুখবর।
মামলার বয়ান অনুযায়ী নৈহাটির বাসিন্দা অসীম দাস চৌধুরী বয়স ৬৫ বছর।তিনি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে চাকুরী করতেন।গত ১৭ই অগাস্ট ২০১১সালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে অফিস যাচ্ছিলেন। নৈহাটি ও হালিশহর স্টেশনে মাঝে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে জি আর পি।আসিম বাবুর দুটি বাড়ি।একটি নিজেস্ব একটি একটি ভাড়ার।
মামলাকারি অনুষ্কা দাস চৌধুরীমেয়ে বাবার মৃত্যুর পর তাঁর মৃত্যুর শংসাপত্র পেতে নাজেহাল হতে হয়েছে। নৈহাটি পুরসভা এবং হালিশহর পুরসভা একে অপরের দিকে।অবশেষে নিরুপায় হয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।বৃহস্পতিবার দড়িটানাটানির ইতি টানলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা।

মামলা চলাকালীন হালিশহর পুরসভার আইনজীবী অরুণাভ ব্যানার্জি আদালতে জানান অসীম দাস চৌধুরী দুটি বাড়ির ঠিকানা রয়েছে। হালিশহর শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পর সেখানে যে ঠিকানা সেটা নৈহাটির বাড়ির।সেক্ষেত্রে হালিশহর পুরসভা কেন মৃত্যু শংসাপত্র দেবে?
রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে জানিয়েছেন আইন অনুযায়ী যেখানে মৃত্যু হোকনা কেন।মৃত ব্যক্তি শেষ যে বাসস্থান সেই বাসস্রহানেড ঠিকানা তেই মৃত্যুর শংসাপত্র দিতে হবে।এক্ষেত্রে হালিশহর বা নৈহাটি যে কেউ ওই ঠিকানায় মৃত্যুর শংসাপত্র দিতে পারেন। কোন ব্যক্তির মৃত্যু যদি বাড়ির এলাকায় না হয়ে অন্য কোন এলাকায় হয় সেক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির পরিবার সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল থেকে লিখে এনে ওই মৃত ব্যক্তির বাড়ির ঠিকানা এলাকার পুরসভায় আবেদন জানান সেখান থেকেও মৃত্যুর শংসাপত্র পেতে পারেন।এতে আইনে কোন বাঁধা নেই।
মামলাকরির আইনজীবী শুভময় পাত্র।,প্রভাত কুমার শ্রীবাস্তবজানান তাঁরা মৃত্যুর শংসাপত্র পেতে নির্দিষ্ট টাকাও জমা করেছিলেন হালিশহর পুরসভায়। আদালত নির্দেশ দেন আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে হালিশহর রেকর্ড পাঠাবেন নৈহাটি পুরসভায়। সেখান থেকেই অসীম বাবুর মৃত্যুর শংসাপত্র পাবেন।