Date : 2024-04-24

সংসদে জটায়ু নাকি! চমকে গেলেন নেটাগরিকরা

তথাগত চ্যাটার্জি, নিউজ ডেস্ক : দেখতে অনেকটাই এক রকম। মাথাজোড়া চওড়া টাক। ঘন পুরু গোঁফ। গায়ে জহরকোট ও গলায় মাফলার। সংসদে বিবৃতি দেওয়ার সময় উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ হরিশ দ্বিবেদীকে দেখে চমকে উঠেছিলেন নেটাগরিকরা। আরে এনাকে যে দেখতে অনেকটাই আমাদের সন্তোষ দত্ত, মানে আমাদের লালমোহন বাবুর মতো। তবে সংসদে খোদ জটায়ু থাকলে হয় বক্তৃতা দেওয়ার আগে সময় চেয়ে নিয়ে বলতেন এক মিনিট। অথবা বক্তব্যের মাঝে কেউ মন্তব্য করলে তিনি বলে উঠতেন, তং মত করো। লোকসভা নিয়ে কোনও বই নেই প্রখর রুদ্রের সৃষ্টিকর্তার। অ-বাঙালি হলেও তবে তাঁর চেহারায় পুরোদস্তুর মগনলাল মেঘরাজের ডাকা হালুয়ামোহন বাবুকে খুঁজে পেয়েছে বাঙালি নেটাগরিকরা। কিন্তু কে ইনি। তিনি কি চেনেন এই বিখ্যাত কল্পিত চরিত্রকে। তবে বাস্তবে যদিও রহস্য রোমাঞ্চ লেখকের সঙ্গে কোনও মিল নেই হরিশ দ্বিবেদীর।

বরং তাঁর বিবৃতি শুনে তাঁকে পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ বলেই মনে হয়েছে। সংসদে তিনি অখিলেশ যাদব ও কংগ্রেসের বিরোধীতা করেন। তাঁকে দেখে নেটমহলে জটায়ুকে নিয়ে মজাদার পোস্টও শুরু হয়ে গিয়েছে। এক নেটাগরিক পোস্টে লিখেছেন আরে লালমোহন বাবু, বিধানসভায় বাড়াবাড়ি। সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেছেন মেরা সাম্প্রতিকতম উপন্যাস। আরেকজন যোগ করেছেন, ইনি হলেন হরিশ দ্বিবেদী। দেখতে হুবহু জটায়ুর মতো। স্বভাবতই নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে প়ড়তে থাকে হরিশের ছবি। তবে সাংসদ জানিয়েছেন তিনি আদৌ লালমোহন বাবুর নাম শোনেন নি। কিন্তু তাঁর সঙ্গে জটায়ুর মিল খুঁজে পাওয়ায় তিনি নিজে লালমোহনবাবু ও ফেলুদার গল্প পড়বেন বলে জানিয়েছেন। তিনি ফেলুদার ছবি দেখবেন বলেও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সংসদে দিনকয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি জানান, দেশে এখন দুই ভাগে বিভক্ত। এক দেশটি ধনীদের ও অন্যটি দরিদ্রদের। ভারতের বিরুদ্ধে চিন ও পাকিস্তান এককাট্টা হয়ে পরিকল্পনা করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে সংসদে আপাতত সেই বিতর্ক দূরে ঠেলে দিয়েছে জটায়ুর উপস্থিতি।