নাজিয়া রহমান, রিপোর্টার : অতিমারির ফলে প্রায় দু বছর ধরে বন্ধ প্রাক প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণির অফলাইন পঠনপাঠন। করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায় ৩রা ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে অষ্টম শ্রেণি থেকে উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রের অফলাইন পঠনপাঠন। তাই সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ঘরবন্দি পড়ুয়াদের কাছে বিদ্যালয়ের পরিবেশ এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষা পৌঁছে দিতে পাড়ায় শিক্ষালয়ের আয়োজন করা হয়েছে। করোনা আবহে ছাত্রছাত্রীদের কাছে স্কুলের আমেজ পৌঁছে দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এক নতুন কর্মসূচি এটি। এমন আবহে চার দেওয়ালে বন্দী ক্লাসরুমে পড়াশোনা করা ঝুঁকিুপূর্ণ বলেই মত বিশেষজ্ঞমহলের, তাই সরকারের পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগ।
পাড়ায় শিক্ষালয়ের মধ্যদিয়ে যে সমস্ত বিষয়গুলির উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে, শিশুদের সামাজিক আবেগজনিত শিক্ষা প্রদান করা। শিশুদের মনো সংযোগ বাড়ানো।পড়া, লেখা, প্রাথমিক স্তরে গণিত চর্চা এবং সংখ্যা সংক্রান্ত দক্ষতা বৃদ্ধির উপর বিশেষ নজর। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড যেমন নাচ, গান, আবৃত্তি ইত্যাদি মাধ্যমেও শিক্ষাপ্রদান করা হবে।
শুধু মাত্র সরকারি নয়। বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষও সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। ৭ ফেব্রুয়ারি দশ থেকে বারোটি বেসরকারি স্কুল পাড়ায় শিক্ষালয়ের মাধ্যমে প্রাক প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্লাস নিতে চলেছেন। স্কুলের মাঠ কিংবা স্কুল সংলগ্ন মাঠে হবে পঠনপাঠন।
করোনা আবহে সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়গুলিতে অনলাইন ক্লাস চালু থাকলেও বহু পড়ুয়াই অনলাইন ক্লাসের সুবিধা পাচ্ছেন না। দুর্বল ইন্টারনেট পরিষেবা বা আর্থিক অনটনের জন্য তাদের অনলাইন ক্লাস করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তাই ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ এই সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী হবে বলে মত শিক্ষা দফতরের। পাড়ায় শিক্ষালয়ের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়ার প্রস্তুতি শেষ। এখন শুধু নতুন পদ্ধতিতে ক্লাস করার অপেক্ষায় পড়ুয়ারা।