Date : 2024-04-25

অনুব্রত মণ্ডলের CBI রক্ষাকবচ সুরক্ষা ভবিষ্যৎ আদালতেই ঝুলে রইলো

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার:-

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বীরভূমের তৃনমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেও গরুপাচার মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চে তাঁর অস্বস্তি বাড়িয়েছে।CBIএর হাতে গ্রেফতার হতে পারেন!সেই আশঙ্কায় তড়িঘড়ি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছেন বীরভূমের কেষ্ট দা।
সিবিআই যে তাঁর রাতের ঘুম কেড়েছে বলাই বাহুল্য।তা না হলে সিবিআই জেরার মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন কেন?
রাজ্যের আইনজীবীর ওপর আর আস্থা রাখতে পারছেন না কেষ্ট দা তাই বুধবার কলকাতা হাইকোর্টেমামলার শুনানির জন্য মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন এডভোকেট জেনারেল বিবেক তানখা হায়ার করেছেন।

অনুব্রত মন্ডলের আইনজীবী বিবেক তানখা আদালতে জানিয়েছেন গত ১৫ই মার্চ সিবিআই যে নোটিস দিয়েছিল তা চ্যালেঞ্জ হয়েছিল। আজ ১৬ মার্চ তাই এই আবেদন গ্রহণ যোগ্য নয়।অনুব্রত মন্ডলকে বিভিন্ন সময় নোটিস পাঠানো হয়েছে। আমি কারণ দেখিয়ে তার জবাব দিয়েছি।আমি(অনুব্রত) হাজিরার জায়গা পরিবর্তন, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ের কারণ দেখিয়ে নোটিস দিয়েছি। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার নোটিস কোনও কিছু করতে পারেনি। তাই দ্বিতীয় নোটিস দিয়েছে। এবার আর একটি অভিযোগ এনে। এইভাবেই সিবিআই নিজেদের পাওয়ার এর ব্যবহার করছে।
এটাকি তদন্ত না হ্যারাসমেন্ট করা। আমি তো সাক্ষী মুল অভিযুক্ত নয়। তাহলে আমি যখন ২০০ কিমি দূরে না করে কাছাকাছি হাজিরার জায়গা নির্ধারণ করতে বলছি সেখানে সিবিআইয়ের অনীহা কেন?
১৪ ই ফেব্রুয়ারি পুনরায় নোটিস দিয়েছে সিবিআই। আমি ২১ ফেব্রুয়ারি তার উত্তরও দিয়েছি। এইভাবেই একটার পর একটা কেস দিয়ে আমায় হ্যারাস করছে এবং নোটিস দিচ্ছে যার কোনও যৌক্তিকতা নেই।
সি আর পি সি ১৬০ এর নোটিস সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ কে রিলাই করে না। কারণ এই নোটিস দিয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার করতে পারে। ফলে আমার অধিকার রক্ষা নাও হতে পারে ১৬০ নোটিসের প্রেক্ষিতে।
আমার রক্ষা কবচ দরকার আমি নিরাপদ নই। সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী।
এডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এস বি রাজু বলেন অনুব্রত মন্ডলের আইনজীবীর বক্তব্য পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন ১৬০ নোটিস তদন্তের অঙ্গ। এটা সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন নির্দেশিকায় আছি।
আবেদনকারীর যদি কোনও ভয় থাকে উনি আগাম জামিনের আবেদন জানাতে পারতেন। এই রক্ষা কবচের আবেদন কখনোই গ্রহণ যোগ্য হতে পারে না।

আইনজীবী রাজু আর জানিয়েছেন বারবার তিনি বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে হাজিরা এরাছেন। তিনি স্বাস্থের কথা বলছেন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জনসভা করছেন। তার ছবি ও নথি আদালতে জমা করলাম। দেখুন মাস্ক এর ব্যবহার উনি করেন নি। আর বলছেন অসুস্থ! তার ফেস বুক অ্যাকাউন্টও এই ছবি ছিল। উনি কলকাতার দলীয় সভায়ও যোগ দিয়েছেন। আর উনি স্বাস্থ্য আর করোনা যে যুক্তি দিচ্ছেন সেটা সঠিক নয়।
সিবিআইয়ের পক্ষের আইনজীবী তাকে যতবার নোটিস দেওয়া হয়েছে সে ততবারই চিটি দিয়ে হাজিরা এড়িয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট বহু নির্দেশিকায় বলেছে শোকজ নোটিসে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
আমার দাবি এই আবেদন খারিজ করা হোক।

এডিশনাল সলিসিটর জেনারেল ওয়াই যে দস্তুর প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষন করে জানান উনি কি মন্ত্রী? উনি কি সংসদ? যে মেডিক্যাল বোর্ড তাকে হনারেবেল বলে পরিচয় দিচ্ছেন!
অনুব্রত মন্ডলের আইনজীবী জানান আমি তদন্তে সহযোগিতা করতে চাই।আমি তদন্তে ব্যাঘাত ঘটাতে চাইনা। কিন্তু আদালত রক্ষা কবচ এর বিষয়টা বিবেচনা করুক।
দীর্ঘ সময় ধরে মামলার শুনানির পর প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ রায়দান স্থগিত রাখেন।