Date : 2024-04-19

আতঙ্কের প্রহর কাটেনি বগটুই গ্রামে

রিমিতা রায়, নিউজ ডেস্ক : অনান্য দিনের মতোই বগটুই গ্রামে দিনের আলো ফুটেছে। তবে আতঙ্কের প্রহর কাটেনি। কে ভেবেছিল এইরকম একটা ভয়ঙ্কর হত্যালীলার সাক্ষী থাকতে হবে। এই গ্রামের মানুষদের প্রাণে বাঁচতে গ্রামের সবাই এখন গা ঢাকা দিয়েছেন। যাঁরা রয়ে গেছেন তাঁরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। এখন পোড়া গন্ধে বাতাস ভারী হয়ে আছে বগটুই গ্রামে। আস্ত একটা গ্রাম যেন শ্মশানে পরিণত হয়েছে রাতারাতি। চোখ বুজলেই তো সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে গ্রামের। আতঙ্কের রেশ কাটেনি বগটুই গ্রামে। ইতিমধ্যেই গ্রামছাড়া হয়েছেন প্রায় ২০০ পরিবার। ঘরে ঘরে তালা। রামপুরহাট কাণ্ডে বগটুই গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে ঘটনাস্থলে যান বাম প্রতিনিধি দল। দলে ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।

তাঁরা বুধবার কথা বলেন গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে।পুলিশের বাধার মুখে বগটুই গ্রামে ঢুকল বিজেপির প্রতিনিধিদল।বগটুই গ্রামে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।রামপুরহাট কাণ্ডে যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আজ বীরভূমে যাব ভেবেছিলাম, যাইনি। কাল আমি রামপুরহাট যাব। আমরা সবাইকে সব জায়গায় যেতে দিই, বিজেপিকে কটাক্ষ করে কাল রামপুরহাট যাওয়ার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।বুধবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে দিল্লি থেকে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের একটি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন তিনি। তিনি বলেন, রামপুরহাটে জঘন্য অপরাধ হয়েছে। রাজ্য সরকারকে বলব অপরাধীরা যেন শাস্তি পায়। রামপুরহাটে এখন বহু মানুষের আনাগোনা। সময় কাটছে। নানা রাজনৈতিক দল আসছে। কিন্তু বগটুই গ্রাম প্রায় ফাঁকা। আতঙ্কের সেই রাত যেন এখনও কাটেনি বগটুই গ্রামে।